মানিকছড়ি সংবাদদাতা:- মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা বাজারে দুটি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দোকানে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে। ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার দিবগত রাত সোয়া ১২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সোয়া ১২টার দিকে যোগ্যাছোলা বাজারে আগুনে লেলিহান শিখা ও ধোয়া দেখে প্রতিবেশি ও স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরে পানি ও বালু দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে তারা। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় মো. আশু মিয়ার চায়ের দোকান ও মো. ইমাম হোসেন’র মোটরসাইকেলের গেরেজের সমস্ত মালামাল পুড়ে যায়
চা দোকানদার মো. আশু মিয়া জানান, প্রতিদিনের ন্যায় দোকানের কাজ কর্ম শেষ করে রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে তিনি বাসায় চলে যাই এবং দোকানে রেখে যাই পুত্র মো. হানিফকে। সে দোকানের পেছনে ঘুমাচ্ছিল। রাত সোয়া ১২টার দিকে বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে বাজারে এসে দেখি পুরো দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় দোকান থেকে কোনো জিনিসপত্র বের করা সম্ভব হয়নি। এতে আমার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মোটরসাইকেলের গেরেজের মালিক মো. ইমাম হোসেন বলেন, সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে গেরেজ বন্ধ করে উপজেলার একসত্যাপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে চলে আসি। পরে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত দোকানে ছুটে গিয়ে দেখি পুরো দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন বেশি থাকায় দোকানের ভেতরে থাকা দুটি মোটরসাইকেল ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে যায়। এতে আমার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। তবে কিভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা আমরা জানি না।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল মতিন জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অগ্নিকাণ্ডের ফলে দুটি দোকানের প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ, শুকনা খাবার ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সেই সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবেও আর্থিক সহায়তা করবো।
আপনার মতামত লিখুন :