রিপন ওঝা : খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলায় সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চোংড়াছড়ি যৌথখামার নিকট রাইসোনা চাকমা(৫৬) কে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে মোঃ শাহাদাত হোসেন সাজু(২৫) ও মোঃ টুলু মিয়া(২২) কে আটক করেছে মহালছড়ি থানা পুলিশ।
১১ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১০ঘটিকায় চোংড়াছড়ি এলাকা থেকে আসামীদেরকে আটক করা হয়। গত ১০ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের স্বামী অংসাজাই মারমা কার্বারী(৫৯) ও রাংপ্রু মারমা(৫৫), মিস্যেং মারমা প্রত্যেক্ষ স্বাক্ষীতে এবং ২৫১মৌজার হেডম্যান ক্যাচিংমিং চৌধুরীর উপস্থিতিতে মামলা দায়ের করা হয়। গত ০৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার চৌংড়াছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী অংসাজাই মারমা কার্বারী (৫৯) ঘটনাটি জানিয়ে বলেন, আমার স্ত্রী গত ৯ফেব্রুয়ারি দুপুর ২ঘটিকার সময়ে আমি বাড়িতে কাজ শেষ করে ছড়া থেকে পানি আনতে ও পাতিল ধুতে ছড়ায় যায়। কিছুক্ষণ পর আমি বাড়ি থেকে কিছু চিৎকার-চেচামেচি শুনতে পাই। কিন্তু আমি তেমন আমলে নিই নি। এর ৫/৬ মিনিট পর আমার স্ত্রী সারা গায়ে কাদা মাখা অবস্থায় বাড়িতে ফিরে আসে। এ সময় সে আমাকে বলতে থাকে এতক্ষণ ধরে আমি চিৎকার করছি, শোনো নি? তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কেন কি হয়েছে? তারপর সে বলল ‘দুজন অচেনা মানুষ আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। অনেক হাতাহাতি করে পালিয়ে এসেছি’। ঘটনা শুনে সাথে সাথে আমি ছড়ার দিকে যাই। এ সময় আমার গাছ বাগানে একজনকে দেখতে পাই। তাকে একটি লাঠি দিয়ে আঘাত করতেই সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এরপর আমি গ্রামের লোকজন ডেকে নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি, কিন্তু পাইনি। তবে ধর্ষণ চেষ্টাকারী একজনের একটি বাটন মোবা্ইল ফেলে যায়, সে মোবাইলের নাম্বার হলো- ০১৬১৭৭৪৮৪০৮ আমার নিকট রয়েছে। মামলা ধায়ের করার পরে থানায় মোবাইল ও সিম জমা দেই। পরে মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে তার নাম মোঃ শাহাদাত হোসেন সাজু (২৫)। সে মাইসছড়ি ইউনিয়নের কাটিংটিলার বাসিন্দা। মোঃ টুলু মিয়া সে মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চোংড়াছড়ি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়। উক্ত মামলার আসামীদ্বয়কে চোংড়াছড়ি হতে আটক করা হয়। আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন। ৯(৪) (খ) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩, ৯(৪) (খ) তৎসহ ৩২৩/৫০৬ প্যানেল কোডে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং-মামলা নং-০১।
আপনার মতামত লিখুন :