মো. সোহেল : গত বৃহস্পতিবার থেকে  টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ির   দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল  প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার-মেরুং সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মেরুং-লংগদু সড়কের দাঙ্গাবাজার মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে মেরুং ইউনিয়ন এর ছোবাহানপুর, চিটাগাংপাড়া, ১নং কলোনি, ৩নং কলোনি এলাকা পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে।

এছাড়াও উপজেলার , কবাখালী, বোয়ালখালী ও মেরুং এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত এবং বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাড়তে পারে জন দুর্ভোগও।

এদিকে অতিরিক্ত ভারি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় সড়ক যোগাযোগ সচল করতে কাজ করছে প্রশাসন। ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্রে।

টানা বর্ষণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক খোলা হয়েছে জরুরি সেবাকেন্দ্র ও মেরুং, কবাখালি, বোয়ালখালী, বাবুছড়া সহ চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয় কেন্দ্র।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোছা মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে বন্যায় বেশি ক্ষতির আশংকা থাকে।

 ইতিমধ্যে চার/পাঁচটি এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্ধী এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ন এলাকার মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্র চলে আসার জন্য।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম জানান, টানা ভারি বৃষ্টির কারণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয়কেন্দ্র। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।