পানছড়ি প্রতিনিধি : গঙ্গারামপাড়া পানছড়ি উপজেলার এক দুর্গম এলাকা। ত্রিপুরা অধ্যূষিত এই এলাকায় কিছুদিন আগেও দেখা গেছে ছনের ছাউনির ভাঙ্গাচুরা ঘরবাড়ি। “কেউ আর থাকবে না গৃহহীন ও ভুমিহীন” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষনার পরেই পাল্টে গেছে অজপাড়া গাঁ হিসেবে খ্যাত গঙ্গারামের চিত্র। ৪নং লতিবান ইউপির গঙ্গারামের পাহাড়ের চুড়ায় এখন শোভা পাচ্ছে লাল হলুদে রাঙানো দালাল ঘর। দৃষ্টিনন্দন এইসব ঘর বানানো হয়েছে এলাকার ভুমিহীন ও দুস্থদের জন্য। পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজের হাত ধরেই ১১’টি পরিবারের জন্য নির্মান করা হয় দৃষ্টিনন্দন আবাসন। যেখানে বাস করছে দুস্থ, অসহায়, স্বামীহারা ভুমিহীনরা। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে উঠতে পেরে পরিবারগুলোর মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় সুবিধাভোগী কতি মালা ত্রিপুরার সাথে। তিনি জানান, খুব সুন্দর জায়গায় আমাদের জন্য দালানঘর নির্মান করা হয়েছে। পাশেই বিদ্যালয় তাই ছেলে-মেয়েরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে। তাছাড়া খেলা-ধুলার জন্য জায়গাটি বেশ উপযোগী। ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া হেলেনা ত্রিপুরা, প্রথম শ্রেণীর ধনি ত্রিপুরারা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পেরে দারুণ খুশী বলে জানায়।
স্বামী পরিত্যক্তা কান্দের মালা ত্রিপুরা জানায়, দুটি সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম। ঘর-বাড়ি, জায়গা-জমি কিছুই ছিল না। এখন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর পেয়েছি। সকালে পরের জমিনে কাজ করার পাশাপাশি বিকেলে ঘরের সামনে বসে পিনন বুনে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালান। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা জানান তিনি।
সুবিধাভোগী সত্যরানী, নন্দরানী ও মলিশা ত্রিপুরা জানায়, পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও সোলারের ব্যবস্থা করা হলে ছেলে-মেয়েরা পড়া-লেখায় আরো উৎসাহী হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজ জানায়, সুবিধাভোগীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছেনা। সোলার প্যানেল স্থাপনের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হবে। খুব সহসাই সুবিধভোগীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট ৭৪৩টি পরিবার মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে দিনযাপন করছে।
আপনার মতামত লিখুন :