পানছড়িতে বাঁশ পাতার ছাউনির ঘর


admin প্রকাশের সময় : মার্চ ১৭, ২০২৪, ৩:০১ অপরাহ্ন /
পানছড়িতে বাঁশ পাতার ছাউনির ঘর

শাহজাহান কবির সাজু : পানছড়িতে চলমান সীমান্ত সড়কের আঁকা-বাঁকা পথ বেয়ে চললেই দেখা মিলবে শ্রী কৃন্তিমা ছড়া। শ্রী কুন্তিমাছড়া একটি গ্রামের নাম। এই গ্রামের বুক চিরে বয়ে যাওয়া সীমান্ত সড়কের পাশেই বাঁশ পাতার ছাউনি দিয়ে দৃষ্টিনন্দন এক দোকান সাজিয়েছে এলাকার দীপায়ন চাকমা। বিগত বছর দুয়েক আগে যখন সীমান্ত সড়কের কাজ শুরু হয় তখন শ্রী কুন্তিমাছড়া এলাকায় শ্রমিকদের জন্য আবাসন স্থাপন করা হয়। আশে পাশে কোন দোকান পাট না থাকায় শ্রমিকদের অনুরোধে দোকান নির্মান করে চা-নাস্তা বিক্রি শুরু করেন দীপায়ন চাকমা। বাঁশ পাতা দিয়ে বানানো হয় দোকানের ছাউনি। বর্তমানে এলাকাটি বাঁশ পাতার দোকান নামেই সবার কাছে ব্যাপক পরিচিত। সব ধরণের পরিবহনের চালক থেকে শুরু করে শ্রমিকেরা যাত্রাপথে বাঁশ পাতার দোকানে এক কাপ চায়ে চুমুক দিয়েই বাড়ির পথ ধরে। দীপায়নের আপ্যায়ন, মিষ্টি হাসি আর সুন্দর ব্যবহারের কারণেই সকাল-সন্ধা দোকানে থাকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। দীপায়ন চাকমা এলাকার নন্দী চাকমার সন্তান। তিনি জানালেন নিজ বাঁশঝাড়ের বাঁশ থেকে পাতা সংগ্রহ করে নিজেই ছাউনির কাজ করেন। দু’বছর পার হয়েছে আরো অনেকদিন টিকবে। তবে বাঁশপাতার ঘরে মোটেও গরম লাগেনা কিন্তু ইদুরের উপদ্রব বেশী।
এলাকার কালো চাকমা জানান, বাঁশ পাতার ঘরে যেমনি পানি পড়ে না তেমনি গরমের দিনে লাগে ঠান্ডা। উপজেলার কচুছড়ি ত্রিপুরা পাড়ায় কয়েকটি বাঁশ পাতার ছাউনির ঘর রয়েছে বলে তিনি জানান।
দশ চাকার ড্রাম ট্রাক চালক মো: আলম জানান, আমি সীমান্ত সড়কে পাথর নিয়ে এসেছি। দেশের ৬৪ জেলায় ঘুরেছি কিন্তু বাঁশ পাতার ছাউনির ঘর জীবনে এই প্রথম দেখলাম।
প্রতিদিন বিকেল হলেই সীমান্ত সড়কের সৌন্দর্য উপভোগে ছুটে আসে অনেক দর্শনার্শী। আর বাঁশ পাতার দোকানের সামনে দাড়িয়ে উপভোগের পাশাপাশি এক কাপ চায়ে চুমুক দিলেই যেন ভ্রমনে শতভাগ তৃপ্তি ।