খাগড়াছড়িতে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়েই চলছে সেতু তৈরির কাজ-নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমানের দায়সারা বক্তব্য


admin প্রকাশের সময় : মার্চ ১৭, ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন /
খাগড়াছড়িতে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়েই চলছে সেতু তৈরির কাজ-নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমানের দায়সারা বক্তব্য
মো: শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া আসাদ : খাগড়াছড়িতে চেঙ্গি নদীর বালু ও নিম্নমানের পাথর দিয়ে চলছে সেতু ঢালাই কার্যক্রম। যেখানে সিলেটের বালু ব্যবহার শতভাগ থাকার কথা সেখানে ব্যবহার হচ্ছে স্থানীয় নদীর বালু। শুধু প্রদর্শণীর জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে কিছু পরিমান সিলেকশন বালু। খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পানছড়ি উপজেলা। আর এই উপজেলার নালকাটা নামক এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় চলছে সেতু তৈরির কাজ। আর এখানেই যতো অনিয়ম। বুধবার সরেজমিনে সেতুর ঢালাই কাজ চলমান অবস্থায় গিয়ে দেখা যায়, নিন্মমানের স্থানীয় চেঙ্গি নদীর বালু ও নিন্মমানের পাথর দ্বারা সেতুর ঢালাই চলছে। যেখানে সিলেট সেন্ট ব্যবহার শতভাগ থাকার কথা সেখানে ব্যবহার হচ্ছে স্থানীয় নদীর বালু। তবে প্রদর্শণীর জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে কিছু পরিমান সিলেট সেন্ট।
এদিকে ঘটনাস্থলে সড়ক বিভাগের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। তবে যে দুজন সহকারি প্রকৌশলী ছিলো তাঁরা ছিলেন শত মিটার দূরের চায়ের দোকানে ঠিকাদারের সঙ্গে চায়ের আড্ডায় । সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের শান্তিময় চাকমা নামের এক কার্য-সহকারী দোকান থেকে দ্রুত বের হয়ে আসেন। এসময় তার নিকট স্থানীয় নদীর বালু কেন ব্যবহার হচ্ছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাদা বালুর ব্যবহার হয় না এখানে।
 শ্রমিকরা জানান ভিন্ন কথা।  ঠিকাদারের শ্রমিকের নিকট জানতে চাইলে শ্রমিক জানান, নদীর বালু ২ টুকরি এবং সিলেট সেন্ট ১ টুকরি ব্যবহার হচ্ছে। তবে সংবাদ সংগ্রহকাল পর্যন্ত কোনো প্রকার সিলেট সেন্ট ব্যবহার হতে দেখা যায়নি।
অতপর কার্য-সহকারী শান্তিময় চাকমা চায়ের দোকান থেকে ঠিকাদার মো: রুহুল আমিনকে ডেকে আনেন। ঠিকাদার সাংবাদিক কে দেখে বিষয়টি ধামা-চাঁপা দেয়ার জন্য চায়ের দোকানে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখা মিলে মালঞ্চন নামের আরেক কার্য-সহকারীর।
এসময় সেই কার্য-সহকারী মালঞ্চনের নিকট বালুর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, স্থানীয় নদীর বালু সিলেট সেন্টের মতো মোটা। এটি সিলেট সেন্টের মতোই ব্যবহার করা যায় বলে ঠিকাদারের পক্ষাবলম্বন করেন।
এদিকে ঠিকাদার মো: রুহুল আমিন ব্যস্ত হয়ে পড়েন বিষয়টি ধামা-চাঁপা দিতে। সাংবাদিককে নিয়ে যায় দোকানের পেছনের দিকে। আরটিভির প্রতিনিধিকে বারবার অনুরোধ করেন নিউজটি না করার জন্য।
সেতু তৈরির এমন অনিয়ম দেখে পথচারী মো: আবুল কাশেম জানান, আমি পানছড়ি আসার পথে দেখলাম ব্রিজের ঢালাইয়ের কাজে সিলেট সেন্টের পরিবর্ত ১০০% স্থানীয় নদীর বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি তো আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রধান সড়ক। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যেন এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ব্রিজের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা তৌহিদুল বারী’র নিকট বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং আমি বিষয়টি দেখছি। একাধিকবার ফোন করার পরও তৌহিদুল বারী ফোন রিসিভ না করার বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমানকে অবগত করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে  বলেন, আপনি কি সবুজের সাথে কাজ করেন নি। অতপর সিনিয়র ফোন করছেন এই অজুহাত দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।