ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পাহাড়ের পরিস্থিতি-সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সংযম


admin প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ১০:২১ অপরাহ্ন /
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পাহাড়ের পরিস্থিতি-সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সংযম

 

সবুজ পাতার ডেস্ক : ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পাহাড়ের পরিস্থিতি। বিগত কয়েকদিন দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম। পরিস্থিতি শান্ত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সংযমের পরিচয় দিয়েছে।

৫ আগস্টের পর থেকেই সুযোগ সন্ধানী একটি মহল পার্বত্য চট্টগ্রামকে উত্তপ্ত করার পাঁয়তারা করছিল। ১৮ সেপ্টেম্বর জেলা সদরের মামুন নামের এক যুবকের হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পরিস্থিতি আরো বিপদজনক দিকে মোড় নেয়। মামুন হত্যার দিন সকালে পাহাড়ী ছাত্র সমাজের ব্যানারে পাহাড়ীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি এবং পাহাড় থেকে সেনাবাহিনী উচ্ছেদের দাবীতে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হলে বাঙ্গালী জন গোষ্ঠীর মনে ভীতি এবং উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর মামুন হত্যার প্রতিবাদে দীঘিনালা কলেজ শিক্ষার্থী কর্তৃক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে। ফলে পাহাড়ী-বাঙ্গালী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ার সংলগ্ন বাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একই দিন রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পানছড়ি থেকে উপজাতীয় গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য খাগড়াছড়ি রওয়ানা দিলে পথ আটকে দেয় উপজাতীয় লোকজন। আটকে পড়া সেনা সদস্যদের উদ্ধারে রওয়ানা হওয়া ২য় এবং ৩য় সেনাদলকে আটকে রেখে গুলি বর্ষণ শুরু করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। উভয় পক্ষের গুলাগুলিতে ৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আহত হয় অনেকেই। পরের দিন রাঙ্গামাটিতেও পাহাড়ী-বাঙ্গালী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের তিন উপদেষ্টা রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় মিলিত হয়।
পার্বত্য অঞ্চল অশান্ত হয়ে উঠার পেছনে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিষয় জানতে পারেন উপদেষ্টারা । বৈঠকে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান তারা। সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি স্থানীয়দেরও। সহিংসতার পর বিভিন্ন গ্রামে পাহারা বসিয়েছিল পাহাড়ি-বাঙালি উভয় সম্প্রদায়।
পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসলেও সাজেকে আটকা পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার বলেন, ‘অবরোধের কারণে নিরাপত্তাঝুঁকি থাকায় আটকে পড়া অন্তত ১হাজার ৫শত পর্যটকদের নিয়ে কোনো গাড়ি ছাড়া হয়নি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ আটকে পড়া সকল পর্যটক নিরাপদ ও সুস্থ আছেন ।