মো. সোহেল রানা : দীঘিনালায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বাস্তবায়িত ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ভিক্ষাবৃত্তি নিরসনে সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সামনে এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। দীঘিনালা উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ এই উপকরণ বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া, দীঘিনালা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সোহেল রানা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম, বোয়ালখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা, কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা, দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গগন বিকাশ চাকমা, মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম ত্রিপুরা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমেন চাকমা, দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিনিধি ডা. নিউটন চাকমা, এলজিইডি কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কর্মকর্তা মো. জাহান আলম সরকার এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফ উদ্দেশ্যে বিপ্লবসহ আরও অনেকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, “ভিক্ষা কোনো পেশা নয়। ভিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয়। তাই ভিক্ষাবৃত্তি নিরসনের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্মসংস্থানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।”
দীঘিনালা উপজেলার ৬ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়ক উপকরণ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে মোছা. হাসিনা বেগম (৬৫) বলেন, “ভিক্ষা করে জীবন চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মানুষ এখন আর ভিক্ষা দিতে চায় না। সরকার আমাকে হাঁস-মুরগি পালনের ঘর ও খাদ্য দিয়েছে। ছয় মাসের জন্য প্রতি মাসে ১৫ কেজি চালও দেবে। আমি আর ভিক্ষা করব না। হাঁস-মুরগি পালন করেই সংসার চালাব।”
এ কর্মসূচির আওতায় বেতছড়ি আশ্রয়ন প্রকল্পের মো. জাফর আলী ও মোছা. শেফালী বেগমকে মুদি দোকানের জন্য মালামাল, কবাখালী এলাকার মো. আব্দুল মালেক মিয়াকে সবজি দোকানের মালামাল, মোছা. হাসিনা বেগমকে হাঁস-মুরগি পালনের ঘর ও খাদ্যসামগ্রী, বোয়ালখালী এলাকার মোছা. কমলা বেগমকে ভ্যানগাড়ি ও সবজি দোকানের মালামাল এবং আশ্রম এলাকার মোছা. মর্জিনা বেগমকে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়েছে।
এই উদ্যোগ ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :