দীঘিনালার মিলনপুরে নিরাপদ পানির সুবিধা পাচ্ছে ৩শতাধিক পরিবার


admin প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১১, ২০২৩, ৯:০৪ অপরাহ্ন /
দীঘিনালার মিলনপুরে নিরাপদ পানির সুবিধা পাচ্ছে ৩শতাধিক পরিবার

দীঘিনালা প্রতিনিধি : বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন, পাহাড়ে বিভিন্ন এলাকায় পানির জন্য হাঁহাকার ছিল। বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পাহাড়ে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন গ্রাম সমূহে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় দীঘিনালার কবাখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর মিলনপুর পাহাড়ি এলাকায় ৩শতাধিক পরিবরের মাঝে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের কোটি টাকা ব্যয়ে ট্যাপের মাধ্যমে ঘরে ঘরে নিরাপদ পানি পৌছে দিয়েছে। আগে ছড়া, ঝরনা, কূয়া থেকে পানি সংগ্রহ করে পান করত। শুকনো মৌসুম আসলেই ছাড়া, ঝরনা, কূয়ার পানি শুকিয়ে যেত। পানির জন্য হাঁহাকার পড়ে যেত, অনেক দুর-দুরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করত।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো: জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, কবাখালী উত্তর মিলনপুরে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় ২টি মোটর, ৮টি পানির ট্যাংক এর মাধ্যমে ৪০হাজার লিটার পানি সরবরাহের মাধ্যমে ৩ শতাধিক পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে পাইপে ও ট্যাপের মাধ্যমে নিরাপদ পানির সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উত্তর মিলনপুর ৭নং ওয়ার্ড নিরাপদ পানি সুবিধা পাওয়া সুফল ভোগকরারী কমিটির সভাপতি মো: আবদুল খালেক বলেন, আমাদের এই পাড়ায় পানির অনেক সমস্যা ছিল, অনেক দুর দুরান্ত থেকে সুপেয় পানি এনে এলাকার লোকজন পান করত। কূয়ার পানি ব্যবহার করত, টিউবয়েল একেবারেই কম ছিল। টিউবয়েল এর পানি ব্যবহার করা যেত না অতিরিক্ত আয়রনের করনে। বর্তমান সরকার আমাদের এলাকায় গভীর একটি নলকূপ বাসিয়ে দিয়েছে। ট্যাংকের মাধ্যমে পাইপ লাইন দিয়ে পানি পৌছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। এখন আর এলাকার লোকজনকে পানির জন্য হাহাকার করতে হবে না।
উত্তর মিলনপুর এলাকার বাসিন্দা মোছা: রহিমা বেগম(৮০) বলেন, ‘আমাকে শেখ হাসিনা একটা সুন্দর পাকা দিয়েছে। রমজান মাস পানি জন্য অনেক কষ্ট ছিল, পাইপ দিয়ে আমার ঘরে পানি এনে দিয়েছে। আমার পানির কষ্টও দুর হয়েছে। আমি শেখ হাসিনার সরকারকে অনেক দোয়া করি’।
উত্তর মিলনপুর ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ৭নং ওয়ার্ড পাহাড়ের উচুতে হওয়ায় পানির খুব সমস্যা ছিল। এলাকার লোকজন অনেক দুর থেকে পানি এনে ব্যবহার করত। শুকনাকাল আসলে পাহাড়ি ঝিরি, ঝরনা, কূয়া শুকিয়ে যায়। বর্তমান সরকার গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধমে পানির ট্যাংঙ্কি বসিয়ে ঘরে ঘরে পানি পৌছে দিয়েছে।
কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা বলেন, কবাখালীর অনেক পাড়া ও গ্রাম পাহাড়ের উচুতে হওয়ায় নিরাপদ পানির সমস্যা দেখা দিত। বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পাহাড়ে বসবাসরত পরিবারের মাঝে নিরাপদ পানি পৌছে দিয়েছে। এতে করে পাহাড়ের মানুষগুলো সুফল ভোগ করতে পারছে।