মো. সোহেল রানা : অহিংস পরম ধর্ম বুদ্ধ বাণী ধারণ করে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা ঐতিহ্যবাহী বোয়ালখালী দশবল বৌদ্ধ রাজ বিহার ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে নতুন আঙ্গিকে ভদন্তঃ প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথেরোর ৩০ তম উপসম্পদা দিবস ও ভিক্ষু সীমাঘর পুনঃ প্রতিষ্ঠা কেক কেটে ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করা হয়।
৬ এপ্রিল শনিবার সকালে বোয়ালখালী দশবল বৌদ্ধ রাজ বিহারের নবরূপকারক ও অধ্যক্ষ, কর্মবীর ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথের’র (গুরু ভান্তে) ৩০তম উপসম্পদা দিবস উপলক্ষে আচারিয়া পূজা উযাপনে রাঙ্গামাটি,খাগড়াছড়ি সহনানা বিহার থেকে আগত শত ভিক্ষু সংঘ ও হাজারো প্ণ্যূার্থী দায়ক/দায়িকা উপস্থিতিতে সকল শিষ্যমন্ডলী ও দায়ক-দায়িকাগণের সমন্বয়ে আচরিয় পূজা (গুরু পূজা) ও সীমাঘর (ঘ্যাং) পুনঃপ্রতিষ্ঠা,বুদ্ধ প্রতিবিম্ব দান, সংঘ দান অষ্টপরিস্থার দান, কল্পতরু দান, সহস্র প্রদীপ দান, আকাশ প্রদীপ দান ও দিনব্যাপি সদ্ধর্মালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলন, বাংলাদেশ ভিক্ষু সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রদ্ধালংকার মহাথেরো। শান্তি লোচন চাকমার সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নীমল জ্যোতি মহাস্থবির পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমিত্র থেরো, বুদ্ধদত্ত মহাথেরো, বিপুল জ্যোতি মহাথেরো, সাবেক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনি কৃষ্ণ চাকমা প্রমূখ।
পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রদ্ধা লংকার মহাথেরো বলেন, আমি এই বোয়ালখালী দশবল বৌদ্ধ রাজবিহারে ১৯৬৫ ইংরেজীতে একজন পঞ্চম শ্রেণী শিক্ষার্থী হিসাবে তৎকালীন অধ্যক্ষ বর্তমান সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভায় সংঘরাজ শাসন শোভন ড. জ্ঞানশ্রী মহাথেরোর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে আজ এই পর্যন্ত চলে এসেছি । তিনি সাম্য মৈত্রী মানবিক হওয়ার সকলকে আহ্বান করেন। একে অপরের প্রতি হিংসা বিদ্বেষ ভূলে নিজের মত সকলকে ভালোবাসতে পারলে ব্যক্তি, সমাজ দেশ জাতির মঙ্গল বয়ে আসবে।
আপনার মতামত লিখুন :