দীঘিনালায় ২ ভুয়া চিকিৎসকে ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড

মো সোহেল রানা : খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মোবাইল কোর্টে অভিযান চালিয়ে এমএম আয়ুবের্দিকের ২ ভুয়া চিকিৎসকে কারাদন্ড দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গত রবিবার সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন এর কাঁঠাল বাগান পাড়ায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুনুর রশীদ।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ঋতু বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, ‘নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কারও চিকিৎসা গ্রহণ করা ঠিক নয়। অভিযুক্তদের চিকিৎসা প্রদান করার কোন বৈধতা নেই।’
অভিযুক্তরা ভুয়া চিকিৎসক মোঃ হারুন সওদাগর (৫৫) ও মোঃ রাকিব হাসান (২৪) টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার নকদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এতে মোঃ হারুন সওদাগরকে ১ মাস ও মোঃ রাকিব হাসান কে ১৫ দিন কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

কারাদন্ড পাওয়া হারুন ও রাকিব সম্পর্কে বাবা- ছেলে। এর আগে উভয় ব্যক্তি বাজারে ভ্যান নিয়ে জুতা ব্যবসা করতেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্তরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কাঁঠাল বাগান পাড়া কেন্দ্র ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এমএম ফার্মাসিটিকেল লিমিটেড এর ব্যানার। কয়েকজন নারীর কাছে বিক্রি করছেন নানান রোগের ঔষধ।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে পাড়া কেন্দ্র এলাকায় দুইজন লোক গ্রামের সাধারণ নারীদের ভুল বুঝিয়ে নানান রোগের ঔষুধ বিক্রি করেন।’ তাৎক্ষিক বিষয়টি মুঠোফোনে অবগত করা হলে প্রশাসনের লোকজন তাদের আটক করে নিয়ে যায়।’এ বিষয়ে নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, ‘গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে তাদের দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে এমএম আয়ুর্বেদিক এর বিক্রয় প্রতিনিধি ২ জনকে বাংলাদেশ ঔষুধ আইন ১৯৪০ এর ৩৬ ধারার অপরাধে ৩৭ ধারায় ১জনকে একমাস ও অন্যজনকে ১৫ দিন কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।