দীঘিনালায় আমন ধান কেটে নবান্ন উৎসবের সূচনা


admin প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৪, ২০২৩, ৮:৫২ অপরাহ্ন /
দীঘিনালায় আমন ধান কেটে নবান্ন উৎসবের সূচনা

দীঘিনালা প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আমন ধান কেটে নবান্ন উৎসব শুরু হয়েছে। সরকারী প্রনোদণায় ব্যক্তিগত চাষের এ সকল ধান কেটে শুরু হয়েছে ধান কাটা ও নবান্ন উৎসব। গত সোমবার বিকালে দীঘিনালা উপজেলার ৪নং দীঘিনালা ইউনিয়নের বড়াদম গ্রামে উপজেলা প্রশাসন এই ধান কাটা ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে।
মাঠে পাকা ধান কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম। এ উপলক্ষ্যে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে এক উৎসবের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে এ উৎসবে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন ইউএনও মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম। বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পতিত জমিসহ চাষাবাদের জমিতে বেশি করে ফসল উৎপাদন ও বাড়ির আশপাশে শাক-সবজি আবাদ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘হেমন্তে নবান্নের দেশে নবান্নের ধানকাটা উৎসব চলছে গোটা উপজেলায়। রাজনীতি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ উপজেলা নেতৃত্বের স্থানে আছে অনেক বছর ধরে। ফসল উৎপাদনেও দীঘিনালা খুবই সমৃদ্ধ একটি উপজেলা।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুস সালাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন, উপজেলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহা. এখতার আলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, ‘মাইনী নদী প্রবাহিত এই উপজেলায় ধানের উৎপাদন অনেক বেশি। এই আমন মৌসুমে দীঘিনালা উপজেলায় ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার মেট্রিক টন যা গত বছরের চেয়ে ১ হাজার মেট্রিক টন বেশি। কিছু কিছু এলাকায় সেচ না পাওয়ায় কৃষকেরা চাষ করতে পারছেন না। সেচ পেলে ধানের উৎপাদন অনেক বাড়বে। এবছর তামাক ছেড়ে ধান চাষ করেছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চাষী।’ দীঘিনালায় নবান্ন উৎসব উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ফসলের মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটা, ধান মাড়াই, ধান শুকানো ও গোলায় ধান ভরার কাজ। নবান্ন উৎসবের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় বাহারী রংয়ের পিঠা। ধান কাটার পর পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে চলে সামাজিক উৎসব। এছাড়াও আমনের পাশাপাশি কালোজিরা, বিনা-১২ ও বিন্নি ধান চাষ করা হয় পাহাড়ি এ জনপদে।