ছাগল পালনে ভাগ্যবদলের চেষ্টা অনিল চাকমা‘র


admin প্রকাশের সময় : আগস্ট ৫, ২০২৩, ৫:৫৭ অপরাহ্ন /
ছাগল পালনে ভাগ্যবদলের চেষ্টা অনিল চাকমা‘র

মো: সোহেল রানা : খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী ইউনিয়নের বাবুপাড়া এলাকার অনিল চাকমা ছাগল পালন করে ভাগ্যবদলের চেষ্টা করছেন।
অনিল চাকমা বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি ছাগলের যত্ন নিচ্ছেন, ছাগলগুলোকে ডাক দিলে ছুটে আসছে। লতাপাতা ঘাস খাওয়ান। ছাগলকে মুড়িও খাওয়ান নিয়মিতি। তিনি একজন মৎস্য কার্ডধারী জেলে। কাপ্তাইলেকের মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়কালীন সময়ে জেলদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে পারিবারিক সহায়তা হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬টি ছাগল দেয়া হয় অনিল বিকাশ চাকমাকে।
জেলে অনিল বিকাশ চাকমা(৫২)বলেন, আমি মাইনী নদীতে মাছ ধরে সংসার চালাই, নদীতে এখন আর আগে মত মাছ পাওয়া যায় না। নদীর গভীরতা কমে গেছে বৃষ্টি কম হয়, পানি কম থাকে, আবার বছরের তিন/চার মাস সরকারী ভাবে কাপ্তাইলেকের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। তাই এখন মাছ ধরে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। আমার তিন মেয়ে পড়া লেখা করে বড় মেয়ে নার্সসিং-এ পড়াখেলা করে। তাদের পড়ালেখার খচর চালতে অনেক কষ্ট হত। মৎস্য অফিস থেকে গত বছর আমাকে ৬টি ছাগল দিয়েছিল। অসুখে ২টি ছাগল মারা যায়। ৪টি ছাগল থেকে এখন আমার ১২টি ছাগল হয়েছে। একটি ছাগল বিক্রি করে বড় মেয়ের নার্সসিং-এর ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার জন্য ১০হাজার টাকা পাঠিয়েছি। মাছ ধরার পাশাপাশি ছাগল পালন করে আমার সংসারের জন্য বাড়তি আয় করতে পারছি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবর্না চাকমা বলেন, অনিল বিকাশ চাকমা একজন কার্ডধারী জেলে। কাপ্তাইলেকে মাছধরা নিষিদ্ধকালীন সময় দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে পারিবারিক সহায়তা হিসেবে পার্বত্য অঞ্চল মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প রাঙ্গামাটির আওতায় ২০২১-২২অর্থ বছরের তাকে ৬টি ছাগল দেয়া হয়েছিল এখন তার ১২টি ছাগল হয়েছে। ছাগল বিক্রি করে পরিবারের ভরন পোষন করতে পারছে।