সূত্রটি জানায়, ‘নেতানিয়াহু বাইডেন প্রশাসনের সহযোগিতায় গাজা উপত্যকার বেসামরিক লোকজনের জন্য একটি সমুদ্র মানবিক সহায়তাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।’ যুদ্ধ শুরুর দুই সপ্তাহ পর ২২ অক্টোবর সাইপ্রাসে ইসরাইলি পরীক্ষার পর সমুদ্রপথে গাজায় সহায়তা পাঠানোর ধারণাটি নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে আলোচনা করেন নেতানিয়াহু। ৩১ অক্টোবর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডোলিডেসের কাছে এই কৌশলের রূপরেখা প্রকাশ করেন।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে ঘনিষ্ঠ এই সূত্র জানায়, বাইডেন প্রশাসন আসলে নেতানিয়াহুর একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এখানে নতুন কিছুই করা হচ্ছে না।
বাইডেন ও নেতানিয়াহুর মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সূত্রটি জেরুসালেম পোস্টকে এই তথ্য জানায়। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সাথে নিজের দূরত্ব তৈরী হয়েছে বলে প্রচার করছেন বাইডেন।
তিনি তার বক্তৃতায় গাজায় দুর্ভিক্ষের কথা উল্লেখ করে হামাসকে ধ্বংস করার ইসরাইলি সামরিক অভিযানের সময় ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা লাঘবে মার্কিন প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন।
গাজায় বন্দর নির্মাণের এই পরিকল্পনা নেতানিয়াহুর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বীতরাগের প্রতিফলন হিসেবেও তুলে ধরা হয়েছিল। বক্তৃতায় বাইডেন আরো বলেছিলেন যে গাজায় ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য ইসরাইলের আরো বেশি কিছু করা উচিত।
গাজা যুদ্ধের অনেক আগে ইসরাইলের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ একটি ভাসমান দ্বীপের সহায়তায় সাইপ্রাসের মাধ্যমে সমুদ্ররুট নির্মাণের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
এই প্রকল্পটি কখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তবে ৭ অক্টোবরের পর তিনি এটি আবার উত্থাপন করেন।
গাজার সাথে সমুদ্ররুট চালুর পথে অন্যতম একটি জটিল বিষয় হলো গাজায় বড় মালবাহী জাহাজ ভেড়ার মতো কোনো বন্দর নেই।
গাজায় অস্থঅয়ী বন্দর নির্মাণ করার বাইডেনের পরিকল্পনাটিকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরাইল।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, নৌ-কমান্ডার সামরিক সচিব প্রমুখদেরকে রোববার নৌবন্দর নির্মাণ এবং বেসামরিক নাগরিকদের কাছে ত্রাণ সরবরাহ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট *নয়াদিগন্ত থেকে সংগৃহীত*
আপনার মতামত লিখুন :