মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া আসাদ : খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার আকতার হোসেন শেখকে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কারাগারের ফটকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন কারারক্ষীরা। অনৈতিকভাবে তিন কারারক্ষীকে বদলিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে তারা এই পদক্ষেপ নেন।
অভিযোগ রয়েছে, জেলার আকতার হোসেন শেখ কারাগারকে আবাসিক হোটেলের মতো ব্যবহার করে বন্দিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নেন সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেল সুপার শাহিন মিয়া। তিনি আন্দোলনরত কারারক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা করেন, তাদের ডিউটি থেকে বিরত রাখেন এবং অস্ত্র জমা নিতে সক্ষম হন।
নবনিযুক্ত জেলার মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, জেলার আকতার হোসেন শেখ বদলির কারণে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। তবে দুপুরের দিকে কয়েকজন কারারক্ষী হঠাৎ আন্দোলনে নামেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে তাকে উদ্ধার করে জেলার বাইরে পাঠানো হয়।
এদিকে, আন্দোলনরত কারারক্ষীরা দাবি জানান, হয়রানিমূলক বদলি আদেশ প্রত্যাহার করে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় বদলির ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের দাবিদাওয়া সম্পর্কে জানতে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বৈঠক করছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জেলার আকতার হোসেন শেখ বন্দিদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা আদায় করতেন এবং নিজ হাতে তার হিসাব রাখতেন। তার কার্যক্রমের ফলে কারাগার যেন ব্যক্তিগত হোটেলে পরিণত হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি আকতার হোসেন শেখকে চট্টগ্রামে সংযুক্ত করার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আজ ছিল তার শেষ কর্মদিবস, আর এই দিনেই তাকে কারারক্ষীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। অবশেষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং তাকে উদ্ধার করা হয়। তবে এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আপনার মতামত লিখুন :