খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৫কোটি ৫৭লাখ টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন প্রকল্পের চেক বিতরণ


admin প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১, ২০২৩, ৫:১৮ অপরাহ্ন /
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৫কোটি ৫৭লাখ টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন প্রকল্পের চেক বিতরণ

 

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে স্ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন চিটাগং হিল ট্রাক্টস (এসআইডি-সিএইচটি) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এডিপিতে বরাদ্দকৃত জিওবি অর্থায়নে কৃষি যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন কর্মসূচিতে অনুদানের চেক ও আপদকালীন ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

১অক্টোবর রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন প্রকল্পের অনুদানের চেক বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক ট্রাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোহতাশিম হায়ার চৌধুরী, ডিজিএফআই’র ডেট কমান্ডার কর্নেল এএসএম বদিউল আলম, জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, মং সার্কেল চীফ (রাজা) সাচিংপ্রু চৌধুরী,ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক ট্রাস্কফোর্স’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, সদর জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল আবুল হাসনাত, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা প্রমুখ।
এ অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং বলেন,‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতায় শান্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ে ২৪ বছরের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের মাঝে সন্দেহ ও অবিশ্বাস ছিল। নিজেদের কথা বলার সুযোগ ছিল না। চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের তথা আমাদের সকলের মাঝে বিশ্বাস-আস্থা আর সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে। আজ যারা মানবতার কথা বলছে, মহান স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় তাদের কী ভূমিকা ছিল ? আমাদেরকে শপথ নিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ দেশের জন্য বোঝা হবে না, আমরা হবো সম্পদ।

আলোচনা সভার পরপরে ৯উপজেলার কৃষি অফিস ও কৃষক সমিতি’র মাঝে ৯টি রাইচ কম্বোমিল, ২১টি পাওয়ার টিলার, ৯টি পাওয়ার রিপার, ৯টি পাওয়ার থ্রেসার, ৪টিকম্বাইন্ড হারভেস্টার, ১৫টি পাম্প মেশিন ও ১৮টি পাওয়ার স্প্রে মেশিন বিতরণ করা হয়।

একই খাতে বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য আইসিটি ডেভলাপমেন্ট কর্মসূচীতে ৫ জনকে ৫০হাজার টাকা করে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা এবং ৩০ হাজার টাকা করে ১৭ জনকে ৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, নন-ট্রাডিশনাল চাষাবাদ কর্মসূচীতে পান বরজ স্থাপনের জন্য ১ জনকে ৪ লাখ এবং ৭ জনকে ২০হাজার টাকা করে ১লক্ষ ৪০হাজার টাকা, নারী বান্ধব সুবিধা তৈরী কর্মসূচীতে ৬১জন, তারমধ্যে ১জনকে ৫০হাজার টাকা এবং ৬০জন ২৫হাজার টাকা করে ১৫লক্ষ টাকা, মৌ চাষ কর্মসূচীতে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা হারে ৩লাখ ৮০হাজার টাকা, মিশ্রফল বাগান কর্মসূচীতে প্রত্যেককে ৫০হাজার টাকা করে ১১জনকে ৫লাখ ৫০হাজার এবং ২০হাজার টাকা করে ১০১জনকে ২০লাখ ২০হাজার টাকা। ফিশারিজ কর্মসূচীতে প্রত্যেকে ৫০হাজার টাকা করে ৪জনকে ২লাখ টাকা এবং ২৫হাজার টাকা করে ৫০জনকে ১২লক্ষ ৫০হাজার টাকা, হোমস্টেড ও গার্ডেনিং কর্মসূচীতে ২০জনকে ৪লক্ষ ৫০হাজার টাকা, লাইভষ্টক উন্নয়ন কর্মসূচীতে ৯৫জনকে ২২লক্ষ টাকা। ৩’শ ৯১জন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১কোটি টাকা অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। এছাড়াও আপদকালীন ত্রাণ হিসেবে ১৪৬ জনকে ৫৭ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়। সর্বমোট ৫কোটি ৬৭লক্ষ টাকার কৃষি যস্ত্রপাতি,বিভিন্ন প্রকল্পের অনুদানের চেক ও আপদকালীন ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এ সময় খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার(জিটুআই) মেজর মো: জাহিদ হাসান,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শানে আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা, সদস্যা শাহিনা আক্তার, সদস্যা শতরুপা চাকমা, সদস্য নিলোৎপল খীসা, সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী,খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবীর,খাগড়াছড়ি সদর থানা’র অফিসার্স ইনচার্জ তানভীর হাসানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।