খাগড়াছড়িতে সুষ্মিতা নৃত্যালয়ের উদ্যোগে নৃত্য কর্মশালার সনদ পত্র বিতরণ


admin প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ৮:২৩ অপরাহ্ন /
খাগড়াছড়িতে সুষ্মিতা নৃত্যালয়ের উদ্যোগে নৃত্য কর্মশালার সনদ পত্র বিতরণ

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক : নৃত্য আত্মার লুকানো ভাষা ।” নৃত্য আপনার পায়ের সাথে স্বপ্ন দেখার মত।” “ভাল নৃত্যশিল্পী তৈরি হয়, জন্ম হয় না। নৃত্য আন্দোলনের আনন্দ এবং জীবনের হৃদয়। ঠিক এমনই দৃঢ় মেধা আর অসীম মননে দ্বারা নৃত্য পরিচালনা করে আসছে “সুষ্মিতা নৃত্যালয় ” নামে সবুজ পাহাড়ে ঘেরা খাগড়াছড়িতে। গত ২১-২৩সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩দিন্যাপি সুষ্মিতা নৃত্যালয়’র উদ্যোগে নৃত্য বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন সকল সম্প্রদায়ের ১০৭জন নৃত্য প্রশিক্ষণার্থী। ২৪ সেপ্টম্বর সন্ধ্যায় এ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরপরেই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী নৃত্য শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ পত্র বিতরণ করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ‘সুষ্মিতা নৃত্যালয়’র পরিচালক সুষ্মিতা ত্রিপুরা,বিশ্বজিৎ ত্রিপুরা ও ক্রাজেরী মারমা।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন,যেকোনো নৃত্যেই কলাকৌশল শিখতে পারলে সেটি আরো সহজতর হয়। সহজভাবে সেটিকে গ্রহন করতে পারলেই ভবিষ্যতে সেই নৃত্যকে ঘিরে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। তাই এখানকার শিশুদের কত্থক নৃত্যের কলাকৌশল শেখাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। নৃত্য শিল্পীদের শুদ্ধ নৃত্য চর্চার কৌশল রপ্ত করে তাঁদের আগামী দিনগুলোতে সাফল্য অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

সুষ্মিতা নৃত্যালয়ের নৃত্য পরিচালক সুষ্মিতা ত্রিপুরা বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই চেষ্টা করেছি নিজেদের অপূর্ণতাকে পূর্ণ করতে, জানতে, শিখতে ও শেখাতে। তারই ধারাবাহিকতায় শিশুদের শুদ্ধ নৃত্য চর্চায় যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছি । পরিশেষে নৃত্যের ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ের আসার পেছনে মা-বাবা, স্বামী ও শ্বাশুড়িদের ভূমিকাও ব্যক্ত করেন।
এ সময় শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় নৃত্যকলা বিভাগের প্রভাষক আরিফ হোসেন শামীম,খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম মোসলেম উদ্দিন,সহকারী শিক্ষক মো: মনিরুল ইসলাম,উত্তম কুমার রায়,মো: মহিউদ্দিন,নৃত্য শিল্পী রিচালী ত্রিপুরা,চেলসি ত্রিপুরাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত:পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই আদিম মানুষের নৃত্য, গীত ও জীবনযাত্রা প্রণালীর বিস্ময়কর সাদৃশ্য দেখা যায়। এর কারণ প্রত্যেক দেশের মানবসমাজই আদিম কালে সভ্যতা বিকাশের একই স্তরগুলির মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির শ্রমের বন্ধনের মধ্যেই মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতির মূলসুত্র খুঁজে পাওয়া যায়। আদিম মানুষ বাঁচত তার সমগ্রতায়। তাদের কাছে তখন দৈনন্দিন জীবনযাত্রার জন্য শ্রম ও সুকুমার কলার কোন প্রভেদ ছিল না। আত্মপ্রকাশের সামগ্রিক রূপই ছিল নৃত্য।