খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগ-বিএনপির সংর্ঘষে পুলিশ সহ আহত অর্ধশত


admin প্রকাশের সময় : জুলাই ১৮, ২০২৩, ৬:৩৭ অপরাহ্ন /
খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগ-বিএনপির সংর্ঘষে পুলিশ সহ আহত অর্ধশত

 

প্রতিনিধি : আওয়ামীলীগের উন্নয়ন শোভাযাত্রা ও বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। পৌর শাপলা চত্ত্বর এলাকা এসময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকলে পৌরসভা কার্যালয় ভাংচুর ্ও অগ্নি সংযোগ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভায়। আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরি দাবি করেন,আওয়ামীলীগের অর্ধশতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়েছে।

তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তিনি আরো জানান,অতর্কিত হামলায় পৌরসভা কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে বিএনপি। অপরাপর আওয়ামী নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, বিএনপি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সন্ত্রাসীদের এনে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্রনিয়ে আওয়ামী নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে পুলিশ,

সাংবাদিক নুরুল আজমসহ

অনেক আওয়ামী নেতাকর্মী আহত হয়।
জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মফিজুর রহমান দাবি করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় আওয়ামীলীগ হামলা করে তাদের অনেক নেতাকর্মীকে আহত করে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
সকাল সাড়ে ১০টা হতে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলতে থাকে এ সংঘর্ষ। পুরো শহরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ কয়েকটি টি আর সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালায় । এত্ওে থামানো যায়নি সংর্ঘষ । প্রথম দফায় আ্ওয়ামীলীগ পৌর শাপলা চত্বর দখল করল্ওে পরে বিএনপির কার্যালয় থেকে নেতা কর্মীরা একত্রিত হয়ে বের হয়ে পৌর শাপলা চত্বর দখলে নেয়। সংঘর্ষ চলাকালে শহরের দোকানপাট এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরফান উদ্দীনকে হ্যান্ডমাইক সহকারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চেষ্টা চালাতে দেখা যায় । দুপুর ১২টার দিকে বিজিবি মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপি সংর্ঘষ থামার পর পুলিশ সুপার নাঈমুল হক গাড়ি নিয়ে শহর প্রদক্ষিন করেন । এ সময় সাংবাদিকরা তার সাক্ষাতকার নিতে চাইলে তিনি সাক্ষাতকার দেননি । সংর্ঘষ চলাকালে পুলিশ ্ও আনসার সদস্যও আহত হয় । বতমানে শহরের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত রয়েছে ।