প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে স্বামী উজ্জ্বল মারমা’র অমানসিক নির্যাতন, প্রাণনাশের হুমকি, বাবার পৈতৃক সম্পত্তি স্বামীর নামে করে দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেছে। ২০ সেপ্টেম্বরমঙ্গলবার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে খেমারী মারমা(নির্যাতিতা স্ত্রী) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যাতিতা স্ত্রী খেমারী মারমা। তিনি সংবাদ সম্মলনে উল্লেখ করেন, ‘‘উজ্জ্বল মারমা ১২ এপ্রিল ২০২২ সালে নিজের “ট্রাডিশন রেস্টুরেন্টে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে “আইনের আশ্রয় নিব” বললে পরবর্তীতে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক স্থানে একাধিকবার ধর্ষণ করে স্বামী উজ্জ্বল মারমা। ঘটনার পরবর্তী ১ (মাস) পর গর্ভধারণ করলে জোরপূর্বক হাসপাতালে নিয়ে বাচ্চা নষ্ট করান। পরে দুজনের সম্মতিতে চলতি বছরে জানুয়ারিতে বিবাহ সংক্রান্ত হলফনামা সম্পাদন করা হয়। বিবাহের কিছুদিন পর স্বামী উজ্জ্বল মারমা আচার-আচারণ বদলে যায়। উজ্জ্বল মারমা(স্বামী) ৩ জুলাই ২০২৩ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দলবল নিয়ে বাড়ি ভাংচুর ও মারধর করে বলে “আমার ব্যবসা বাণিজ্য এবং রেস্টুরেন্টে অনেক টাকা-পয়সার প্রয়োজন। তোমার বাবার জায়গা-জমি বিক্রি করে টাকা পয়সা নিয়ে আমাকে দাও”। এসময় পরিবারের সকলে উপস্থিত ছিলেন। পৈতৃক সম্পত্তি না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে থানায় জিডি ও দেওয়ানী মামলার মাধ্যমে হয়রানি করে। এছাড়াও পরিবারের সকল সদস্যকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। উল্লেখ যে, তাছাড়াও অনেক মেয়েদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে উজ্জল মারমার। বিষয়টি জানার পর নির্যাতনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে নারী ও নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলা ধীরগতি লক্ষ্য করায় স্বামী উজ্জ্বল মারমা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণনাশের হুমকি এবং তার পালিত দলবল পাঠিয়ে নির্যাতন করতে শুরু করে। বর্তমানে পরিবারের সকলে অনিরাপত্তায় ভোগছে এবং অতি শীঘ্রই গ্রেপ্তার পূর্বক শাস্তির দাবী জানাচ্ছ ‘’।
আপনার মতামত লিখুন :