শাহজাহান কবির সাজু : পানছড়ির ইউএনও স্যার আমাকে সহযোগিতা না দিলে ভার্সিটিতে ভর্তি অনিশ্চিত ছিল। ইউএনও স্যার আমাকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি দৃষ্টিনন্দন বাড়িও দিয়েছেন । স্যারের মানবিকতা আজীবন মনে থাকবে। স্বস্তির হাসি দিয়ে এ কথা বলছিলেন পানছড়ির কৃতি ফুটবলার জুবাইর ইমন। ১২’জুলাই বুধবার সকাল ১১’টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে ইমনের হাতে তুলে দেয়া হয় চট্টগ্রাম ভার্সিটিতে ভর্তির সহায়তা।
জুবাইর ইমন পানছড়ি উপজেলার তালুকদার পাড়া গ্রামের কৃষক মো: লোকমানের সন্তান। সে একজন কৃতি ফুটবলার। পাশাপাশি মেধাবী শিক্ষার্থীও। এবারের চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে সে স্পোর্টস সাইন্স বিভাগে পড়ার সুযোগ পায়। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে তার বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি ছিল অনিশ্চিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমনের বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগের খবরটি দৃষ্টিগোচর হয় পানছড়ি উপজেলার মানবিক নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজের। অবশেষে ইউএনও ইমনের ভর্তির ব্যাপারটি নিশ্চিত করে ভবিষ্যতেও পাশে থাকার আশ^াস প্রদান করেন।
মাত্র আঠার বছর বয়সী ইমন এরি মাঝে চট্টগ্রাম প্রথম বিভাগ ও ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল খেলেছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় অনুর্ধ্ব’১৫ দলের অধিনায়কত্বের পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে বিকেএসপি ও ক্রীড়া অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত দেশ সেরা চল্লিশের ক্যাম্পে ছিল দীর্ঘ সময় ধরে। শত ব্যস্ততার পাশাপাশি বইয়ের সাথেও ছিল তার সু-সম্পর্ক। তাই এসএসসি ও এইচএসসিতে এসেছে ভালো ফলাফল। পরিশেষে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে মিলে তার পড়ালেখার সুযোগ।
ইমন আরো জানায়, পানছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল স্যার আমাকে এইচএসসিতে পড়াকালীন সহযোগিতা দিয়েছে। ভার্সিটিতে ভর্তির ব্যাপারেও স্যার পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া আমার ওস্তাদ পানছড়ি ফুটবল একাডেমির ফুটবল কোচ ক্যপ্রুচাই মারমা স্যারের হাত ধরেই আমার ফুটবল জগতে আসা। পানছড়ি ফুটবল একাডেমিতে স্যার আমাকে ফুটবলের হাতেখড়ি দিয়েছেন। উনার কাছে চির কৃতজ্ঞ।
আপনার মতামত লিখুন :