প্রতিনিধি : তিন মাস ধরে দিনে-রাতে সরকারি পাহাড় কেটে নেয়ার ঘটনায় অবশেষে নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ২৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতসহ মোট ৯ জনকে আসামি করে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মোঃ মুসাইব ইবনে রহমান বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরিদর্শক মোঃ মুসাইব ইবনে রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটা হচ্ছিল। গতকাল পর্যন্ত সেখানে ৪০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে পরিবেশ আদালত ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে ৪ জনের নামসহ মোট ৯জন আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।’
স্পেশাল পরিবেশ আদালত ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আদালতের বেঞ্চ সহকারী আব্দুর রহিম জানান, পরিবেশ অধিদপ্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাহাড় কাটছেন ব্যাংকার” সংবাদের শিরোনামে আদালত গত ৪ জানুয়ারী স্বপ্রনোদিত হয়ে মিস মামলা দায়ের করেন। একই সাথে পরিবেশ অধিদপ্তকে ১১ দিনের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারকে স্বশরীরে হাজির হয়ে স্থিরচিত্র সহ প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের পর দিনে রাতে পাহাড় কেটে সাবাড় করার ঘটনায় নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেন ৫নং পরিবেশ আদালতের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মোঃ আসিফ।
মামলার আসামীরা হলেন যথাক্রমে পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণে পাহাড়তলীর অংশ মৌলভীপাড়ার বশির আহমদের ছেলে হিজবুল্লাহ, বাদশাঘোনা এলাকার লাল মোহাম্মদের পুত্র শাহজাহান প্রঃ শাহাজাহান মাঝি, কক্সবাজার শহরের শীর্ষ পাহাড় কর্তনকারি দক্ষিণ পাহাড়তলীর মৌলানা সেকান্দরের ছেলে মোঃ আইয়ুব প্রঃ আইয়ুব মাঝি ও পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড পূর্ব টেকপাড়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মোঃ মিজান। এছাড়া আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান বলেন, ‘পাহাড় কাটার ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া একটি এজাহার এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলাটি পরিবেশ অধিদপ্তর তদন্ত করবেন।’
আপনার মতামত লিখুন :