মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়িতে ২৬টি গৃহহীন পরিবার পেল তাদের সুখের নীড়

জাকের হোসেন (নিজস্ব প্রতিনিধি):
১৯শে ডিসেম্বর (রবিবার) খাগড়াছড়ি সদর কুমিল্লা টিলা আশ্রয়ন প্রকল্পের ২৬টি পরিবারের মধ্যে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ: কামরুল হাসান এন ডি সি । তিনি কজের গুনগত মান দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ। কোনো প্রকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ ছাড়াই প্রতিটি ঘর নিমাের্ণে মাত্র ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি পরিবারের জন্য বাসযোগ্য আবাস তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো উপজেলা পরিষদ খাগড়াছড়ি।
২৬টি ঘর নিমার্ণে সর্বমোট ৫২লক্ষ টাকা খরচ হয় তার মধ্যে একটি শালবন খাগড়াছড়ি সদর। কুমিল্লা টিলা আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন মাসুদুর রহমান (উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) খাগড়াছড়ি সদর প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হয়ে এই আশ্রয়ন প্রকল্পে কাজ সমাপ্ত করেন। তাছাড়া সার্বিক তদারকি করেন মোহাম্মদ শানে আলম (চেয়ারম্যান খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিসেস মাহফুজা মতিন। খাগড়াছড়ি সদর কুমিল্লা টিলা আশ্রয়ন প্রকল্পের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেল জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস খাগড়াছড়ি, মোহাম্মদ শানে আলম চেয়ারম্যান খাগড়াছড়ি সদর, মিসেস মাহফুজা মতিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাগড়াছড়ি সদর, প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী সহকারী কমিশনার খাগড়াছড়ি, জনাব মাসুদুর রহমান (উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা)।
এছাড়াও সামাজিক রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীরা এই উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান এন ডি সি বলেন, সরকার ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধান মন্ত্রীর অঙ্গিকার কেউ গৃহহীন হয়ে থাকবেনা। পর্যায় ক্রমে দেশের সব গৃহহীন ভূমিহীনদের আশ্রয়ন প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং এই প্রকল্প চলমান থাকবে। তিনি কর্মমুখী শিক্ষার জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের পরিবার গুলোর প্রতি তাগিদ দেন। প্রত্যেকের ঘরের আশে পাশে খালি জায়গা না রেখে ফলজ গাছ রোপণ ও সবজি চাষ করার পরামর্শ দেন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মিলেমিশে বসবাস করার প্রেষনা প্রদান করেন। খাগড়াছড়ি সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন: সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা এবং যোগাযোগ উন্নয়নে জেলা প্রশাসন আপনাদের পাশে থাকবে। প্রতিটি পরিবার একটি বসতঘর ও ২ শতাংশ জমি নিজ নামে বরাদ্দ পান। বিগত দিনের আশ্রয়ন প্রকল্প নিমার্ণে দুনীতির সংবাদে সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা ঝড় বয়ে যায় এবং সংবাদ শোরোনাম হয়। ফলে সমালোচকদের তীর সরকারের দিকে নিক্ষেপীত হয়।
সদিচ্ছা আর দেশ প্রেমের প্রতি অনুগত্য হয়ে আন্তরিগতার সাথে কাজ করলে সবই সম্ভব। আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর নিমার্ণে অতীতের বরাদ্দের চেয়ে আরোও কম বরাদ্দে সুন্দর পরিপাটি টেকসই ঘর নিমার্ণ করা যায় তা প্রমান করে দিলেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ।