চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড অগ্নিবিস্ফোরণ, পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


admin প্রকাশের সময় : জুন ৭, ২০২২, ৫:৪৭ পূর্বাহ্ন /
চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড অগ্নিবিস্ফোরণ, পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সোহানুর রহমান: সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আমরা কোনো অপরাধকে দায়মুক্ত করিনি। যে অপরাধ করেছে আইন অনুযায়ী তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে যে ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে কেউ দোষী হলে আইন অনুযায়ী সেটার বিচার হবে। সোমবার (০৬ জুন) সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে এসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ যে, ‘সোমবার (০৬ জুন) সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে এসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’ শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
সরেজমিনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিস্ফোরক এলাকা গুড়ে জানা যায়, বর্তমান ৪টি কনটেইনারে রাসায়নিক আছে নিশ্চিত হয়েছে সেনাবাহিনী, যেসব কনটেইনারে ধোঁয়া ও আগুন দেখা যাচ্ছে, তা বন্ধের চেষ্টা চলছে। আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আগুন লাগার ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত হওয়ার পর অপরাধী চিহ্নিত হলে অবশ্যই যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিংবা অবহেলার কারণে বা যে কোনো কারণেই হোক কারো যদি বিন্দুমাত্র দায় থেকে থাকে অবশ্যই তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তিনি বলেন, এখনও কাজ চলছে। ফায়ার সার্ভিসের দুইজন মিসিং রয়েছে। হাসপাতালে ভিড় না করাই উচিত। এসময় মন্ত্রী হাসপাতালে ভিড় না করতে অনুরোধ করেন।
এদিকে কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হলে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানান আরিফুল ইসলাম। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম দুর্ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আরিফুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনী গতকাল রোববার থেকে দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করা হচ্ছে।
আরিফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, আরও চারটি কনটেইনারে রাসায়নিক রয়েছে। যেসব কনটেইনারে ধোঁয়া ও আগুন দেখা যাচ্ছে, তা বন্ধের চেষ্টা চলছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর বাকি কাজ করা হবে। চারটি কনটেইনারেই হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রয়েছে কি না, প্রশ্ন করা হলে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘হতে পারে, আবার অন্য রাসায়নিকও থাকতে পারে।’
কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হলে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানান আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যেসব কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে, সেগুলোর ভেতরে কাপড় ছিল। পানি ছিটানোর পর আগুন নিভে কাপড় থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে আরিফুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা কনটেইনার ডিপোর আশপাশের বিভিন্ন নালায় বালু দিয়ে বাঁধ দিয়েছেন, যাতে রাসায়নিক সমুদ্রে গিয়ে না পড়ে। গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যসহ ৪৯ জন নিহত হন। আহত দুই শতাধিক। তাঁরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের চিকিৎসা নিচ্ছেন।