সাধারণ

২৯তম আন্তর্জাতিক ও ২২তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে সহায়ক উপকরন বিতরন

 

সুজন বড়ুয়া/আব্দুল্লাহ আল মামুন : কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সম্পৃক্ত করি, নতুনভাবে টেকসই বিশ্ব গড়ি এ প্রতিপাদ্যে ২৯তম আন্তর্জাতিক ও ২২তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০২০ উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধীদের সহায়ক উপকরন বিতরন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজ সেবা, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং স্থানীয় স্বেচ্ছা সেবী সংস্থাসমূহের আয়োজনে এবং জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের সহযোগীতায় ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি কালেক্টরিয়েট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রতিবন্ধীদের সহায়ক উপকরন বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ৩০৯ মহিলা আসনের সাংসদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে সদস্য শ্রীমতি বাসন্তী চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন হামদর্দের রিজিয়নাল ম্যানেজার হাকিম আব্দুর রহিম, খাগড়াছড়ি জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা রোকেয়া বেগম প্রমূখ। সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মো: শাহজাহান এবং উপস্থাপনায় ছিলেন ফিজিও থেরাপিস্ট কনসালটেন্ট সৈয়দা লুলু মারজান। বিতরনকৃত সহায়ক উপকরনের মধ্যে ছিলো: ১২টি হুইল চেয়ার, ১টি এলবো কাচ, ২টি হেয়ারিং ও ১টি ডিজিটাল সাদাছড়ি।

প্রধান অতিথি সাংসদ শ্রীমতি বাসন্তী চাকমা বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে খুবই আন্তরিক। জেলা প্রশাসকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে এই প্রথম কালেক্টরিয়েট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপিত হলো। বিদ্যালয়ের এ ভবনটি জরাজীর্ণ ও পরিত্যাক্ত ছিলো। জেলা প্রশাসক বিভিন্ন ফান্ড থেকে অর্থ সংগ্রহ করে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করেছেন। শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করছে। আশা করি সকলের সহযোগীতায় এ বিদ্যালয়ের উৎকর্ষতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ২৫ শতক জায়গার উপর এ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে আসতে। প্রতিবন্ধীদের অবহেলা করা উচিত নয়। প্রতিবন্ধীরা আপনার আমার কাহারো ভাই-বোন বা সন্তান। প্রতিবন্ধীদের অধিকার সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে। সরকার সকল প্রতিবন্ধীকে নিবন্ধনের আওতায় এনে ভাতার ব্যবস্থা করেছে। শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সকল বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি রয়েছে প্রতিবন্ধীদের প্রতি।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য প্রেস ক্লাবের সভাপতি দেব প্রসাদ ত্রিপুরা, সাধারন সম্পাদক মো : জুলহাস উদ্দিন, যুগান্তর জেলা প্রতিনিধি সমীর মল্লিক, সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ হৃদয়,
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষার্থী-অভিভাবকবৃন্দ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button