১০ এপ্রিল খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা সংস্কৃতি মেলার উদ্বোধন করবেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক

রেজাউল করিম : পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব বৈসাবি। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বৈসু সাংগ্রাই বিজু এই তিন নামে উৎসব পালন করে ত্রিপুরা মারমা এবং চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজন। বৈসু সাংগ্রাই বিজু কে সংক্ষেপে বলা হয় বৈসাবি। ১০ এপ্রিল বুধবার থেকে খাগড়াছড়ি শহরে শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী ত্রিপুরা সংস্কৃতি মেলা। খাগড়াছড়ি সদর খাগড়াপুর মাঠে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় মেলার উদ্বোধন করবেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন সামরিক-বেসামরিক পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অগণিত লোকজন।
১২ এপ্রিল সকাল ৮টায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা মাঠ থেকে ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী ‘গরয়া’ নৃত্যের মাধ্যমে একটি শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করবে। উক্ত শোভা যাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিাত থাকবেন ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্ধাস্ত নিদিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন সর্ম্পকিত টাস্কর্ফোস চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা সম্পন্ন) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও ত্রিপুরা সংস্কৃতি মেলার অন্যতম সংগঠক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল জানান, জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য উন্মুক্ত এই মেলায় প্রতিদিনই সৃজনশীলতার পরিপূর্ণ থাকবে।
বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নলেন্দ্র লাল ত্রিপুরা জানান, ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় মেলা মাঠে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে ভারতের খ্যাতনামা ত্রিপুরা সাংস্কৃতিক দলের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে।
৮ এপ্রিল এ মেলার উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও কাল বৈশাখী ঝড়ের কারনে মেলার স্থাান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারিখ পরিবর্তন করা হয়। মেলায় ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি বিষয়ক উপকরণ, প্রকাশনা,অলংকার, ব্যবহার্য্য সামগ্রী, বুননকর্ম, বাঁশ-বেতসহ নানা ধরনের হস্তশিল্প স্টল স্থান পাবে।