সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ ও স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির আলোচনা সভা


admin প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন /
সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ ও স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির আলোচনা সভা

বিশেষ প্রতিনিধি : জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের উদ্যোগে এবং স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির সহায়তায় “আদিবাসী স্বীকৃতি আদায়ের ষড়যন্ত্র, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ, শান্তি প্রতিষ্ঠায় করণীয়” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. মোস্তফা আল ইহযায। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার)-এর প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু। আলোচনায় অংশ নেন সহকারী এটর্নি জেনারেল এডভোকেট আলম খান, ব্যারিস্টার মেজর (অব.) সরওয়ার, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক, সাবেক সচিব ড. জাকারিয়া, অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম, মো. সাহিদুল ইসলাম, ও তাজুল ইসলাম।

সভায় আলোচিত বিষয়বস্তু:
১. আদিবাসী স্বীকৃতি ও ষড়যন্ত্র: বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে আদিবাসী স্বীকৃতি দাবি একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। “স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি” দাবি করেছে যে কিছু ব্যক্তি পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী পরিভাষা অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত হয়েছেন।

২. ভূরাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: বক্তারা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা তৈরির মাধ্যমে অঞ্চলটি বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রে ভারত ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর ভূমিকা রয়েছে।

৩. ৭ দফা দাবি:

  • সকল নাগরিককে “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ” ধারণায় স্বীকৃতি দেওয়া।
  • পার্বত্য চুক্তি বাতিল করে সম্প্রীতি কমিশন গঠন।
  • অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সামরিক কমিশন গঠন।
  • সাংবিধানিক সমঅধিকার এবং ভূমিহীনদের পুনর্বাসন।
  • আদিবাসী শব্দ ব্যবহার বন্ধ ও জড়িতদের শাস্তি।
  • ব্রিটিশ শাসনবিধি ১৯০০ বাতিল।
  • পার্বত্য অঞ্চলে হত্যাকাণ্ডের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন।

সভায় বক্তারা জাতি, ধর্ম, এবং সংস্কৃতির মধ্যে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।