সাধারণ

সাংবাদিকদের সাথে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডারের মতবিনিময় সভা

 

সবুজ পাতার ডেস্ক : স্থাানীয় সংবাদিকদের সাথে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ অক্টোবর সকালে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন সদরে জিএসও-২(ইন্ট) মেজর রফিকুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মত মতবিনিময় সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক এনএসডব্লিউসি.পিএসসি। জেলায় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে উপস্থিাত ছিলেন খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব সভাপতি জিতেন বড়–য়া, সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি নুরুল আজম, রিপোর্টার্স ইউনিটি সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক সবুজ পাতার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মো: জুলহাস উদ্দিন, অরণ্যবার্ত সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান রানা, ইত্তেফাক প্রতিনিধি প্রবীন সাংবাদিক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ প্রতিদিন এর জেলা প্রতিনিধি মো: জহুরুল আলম প্রমূখ।
পরিচিতি পর্বের পর মতবিনিময় সভায় রিজিয়ন কমান্ডার হামিদুল হক বলেন, ‘পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অনেক সময় মিডিয়ায় সঠিক সংবাদ পরিবেশিত হয় না। অযথা বাঙ্গালী সম্প্রদায় ও সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। যেমন কৃত্তিকা ত্রিপুরা নিহতের ঘটনায় প্রথমে বাঙ্গালীদের ঢালাও ভাবে দোষী করে অতিউৎসাহী হয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশিত হচ্ছিল। পরে জানা গেল যে এ ঘটনায় বাঙ্গালীরা জড়িত না। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে জোড়ালো প্রতিবাদ হওয়া উচিত। পাহাড়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে সন্ত্রাসীরা। চাঁদাবাজির অর্থে তারা নিজেরা বিলাস বহুল জীবন যাপন করছে। এ সকল সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রের কর্তা ব্যক্তিদের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ সভা-সেমিনার করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীদের সহায়তায় ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। এদের আইনের আওতায় আনা জরুরী। তাদের নির্মুল করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। যেখানে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের অবস্থাানের কথা জানা যাবে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাবে। সত্য ঘটনা প্রকাশে আমাদের পক্ষ থেকে কখনো প্রতিবন্ধকতা আসেনি বা আসবেও না। যা সত্য তা যাচাই করে নিরপেক্ষ সংবাদটি প্রকাশ করবেন’’। পাহাড়ে যারা অস্্র নিয়ে জনগনের জান মালের নিরাপত্তায় বিঘœ ঘটাচ্ছে, সাধারন জনগনের কাছ থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করছে, নিত্য মানুষ খুন করছে সে সকল সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে মতামত জানতে চাইলে সকল সাংবাদিক এক বাক্যে রিজিয়ন কমান্ডারের মতামতকে সমর্থন করেন। বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন সাংবাদিকবৃন্দ।
চা চক্রের শেষে সাংবাদিকদের উপস্থিাতিতে জেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button