সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণে সেনা হত্যার প্রতিবাদে মানিকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

মো. ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি:-
সামপ্রতিক সময়ে বান্দরবনের রুমা উপজেলায় সেনা টহলের উপর পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী কতৃক গুলিবর্ষণে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. হাবিবুর রহমান’কে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের মানিকছড়ি উপজেলা শাখা নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৮ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় মানিকছড়ি উপজেলার মহামুনি বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়ক প্রদক্ষিণ করে আমতল সড়কে মানববন্ধে মিলিত হয়। এ সময় পাহাড়ে শান্তিচুক্তি ভঙ্গকারী সন্তু লারমার লালিত জেএসএস, ইউপিডিএফসহ অন্যান্য সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠিকে হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির ঘটনায় দায়ী করে সন্তু লারমাকে আইনের আওতায় আনার দাবীতে নানা স্লোগান দেন।
পাবর্ত্য নাগরিক পরিষদের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় ও মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি মো. মোকতাদের হোসেন’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের, সহ-সভাপতি এস, এম হেলাল, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল হোসেন, মহিলা পরিষদের সভাপতি হাসিনা বেগম, নাগরিক ছাত্র পরিষদের জেলা আহবায়ক মো. সুমন হোসেন। এতে মানিকছড়ি উপজেলা আহব্বায়ক মো. সাহাব উদ্দিন ও সদস্য সচিব মো. কাউছার হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পার্বত্যঞ্চলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বক্তারা বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর টহলে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী কতৃক গুলিবর্ষণে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. হাবিবুর রহমান’কে হত্যা করা হয়। এর কিছু দিন পূর্বে মানিকছড়ির তিনটহরী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ইমান হোসেনকেও অবহরণ করা হয়েছিল এবং তাকে মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়ে ফেরত দিয়েছে পাহাড়ের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন। এছাড়াও কয়েক মাস আগে উপজেলার ঢাকাইয়া শিবির এলাকা থেকে এক প্রবাসী পূত্রকে অবহরণ করে নিয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। এছাড়াও প্রতিনিয় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনকে চাঁদা দিতে হয়। তারপরও থেমে নেই তাদের অপহরণ, খুন, গুম ও চাঁদাবাজিরমত নানা অপকর্ম। সেনা সদস্য হত্যার মধ্য দিয়ে তারা আবারও পার্বত্যঞ্চলকে অশান্ত করে তোলার পায়তারা করছে। এছাড়াও শান্তিচুক্তির নামে সন্তু লারমা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্যবাসীর সাথে প্রতারণা করেছেন। পাহাড়ে জেএসএস, ইউপিডিএফ, সংস্কারের নামে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ বানিয়ে জাতীয় পতাকা ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাভোগ করেও সন্তু লারমার হৃদয়ে দেশপ্রেম জাগ্রত হয়নি। তাই সন্তু লারমাকে পাহাড়ের সকল হত্যাকান্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান বক্তারা