শ্রীনগরে ৪ নিরীহ মুসলিমকে গুলি করে হত্যা

উত্তপ্ত শ্রীনগর। পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু চার নিরীহ মুসলমানের। ঠান্ডা মাথায় পুলিশ মেরেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এমনকি নিহত চারজনের লাশও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি বলে অভিযোগ।
সোমবার রাতে শ্রীনগরের হায়দরপোরা অঞ্চলে একটি দোকানে অপারেশন চালায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, সেখানে এক পাকিস্তানি এবং এক কাশ্মীরি মুক্তিকামী লুকিয়ে ছিল। পুলিশ দেখেই তারা পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশও গুলি চালাতে বাধ্য হয়। তাতেই ওই দুই জনের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ দাবি করেছিল, এনকাউন্টারের সময় মুক্তিকামীদের গুলিতেই আরো দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ওই মুক্তিকামীদের আশ্রয় দিয়েছিল তারা। পরে অবশ্য পুলিশ জানায়, ক্রস ফায়ারে মৃত্যু হয়েছে ওই দুই ব্যক্তির।
মৃত ব্যক্তিদের অন্যতম মুদাসির গুল। পেশায় দাঁতের চিকিৎসক মুদাসিরের স্ত্রী জানিয়েছেন, এক পুলিশকর্মী এসে তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বিক্ষোভস্থল থেকে সরে গেলে তাদের হাতে দেহ তুলে দেয়া হবে। পরিবার লিখিত আশ্বাস চেয়েছিল। এরপরেই বড় বড় গাড়িতে সশস্ত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিবারের লোকেদের আটক করা হয়। আরেক মৃত ব্যক্তি আলতাফ ভাট। পেশায় ব্যবসায়ী আলতাফের মেয়ে জানিয়েছেন, পুলিশের কাছে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন তার বাবাকে মারা হলো। উত্তরে পুলিশকর্মীরা কেবল হেসেছেন।
শ্রীনগরের এই এনকাউন্টার রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে উপত্যকায়। সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাহ ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন এবং নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। পুলিশ সত্যিই ভুয়া এনকাউন্টার করেছে কি না, তা নিয়ে তদন্তের দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। এই বিতর্কিত পুলিশি অভিযান ঘিরে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরে এবার অতিরিক্ত জেলাশাসককে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। সূত্র: পিটিআই, এনডিটিভি।(ইনকিলাব)