শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক সময় দেশের মানুষ বিদ্যুতের জন্য দুর্বিষহ সমস্যার সম্মুখীন হতো। এক ঘণ্টা অন্তর অন্তর তাদের থাকতে হতো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে। স্থাবির হয়ে পড়তো নাগরিক জীবনযাপন। সেই সাথে থমকে যেত কল কারখানার উৎপাদন। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেকটা অনিশ্চিত ছিল। দেশের বিদ্যুৎ খাতের এই করুণ অবস্থাায় অনেকটা ত্রাণকর্তার মতো উপস্থিাত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প- ২১’ ও ‘রূপকল্প- ৪১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্রুত অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে এগোচ্ছে দেশ। এই দিক বিবেচনায় দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে নাগরিক সেবা। ২০০৯ সালে দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। এরপর থেকেই দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বাড়তে থাকে। চলতি বছর ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ সর্বো”চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ১০ হাজার ৮৪ মেগাওয়াট। ২০০৯ এরপর থেকেই দেশে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। বেড়েছে শিল্প কারখানার উৎপাদন।
দেশের সর্বত্র বিদ্যুৎ সেবা সম্প্রসারণের জন্য স্থাাপন করা হয়েছে নিত্য নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যার ফলে নিশ্চিত হয়েছে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সুব্যবস্থাা। এর মাধ্যমেই আলোকিত হচ্ছে দেশের প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি ঘর। বর্তমানে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে জ্বলে উঠে বিদ্যুৎ অথবা সৌর বিদ্যুতের আলো। অথচ এক সময় সন্ধ্যা নামলেই ঘরে ঘরে জ্বলে উঠতো কুপির আলো। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের হাত ধরে স্বয়ংসম্পূর্ণ বিদ্যুতের দেশের তালিকায় নাম লিখালো বাংলাদেশ।
দেশের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে চলতি বছর আটটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও দু’টি গ্রিড সাবস্টেশন এবং ২১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর বর্তমান সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো হল: ঘোড়াশালের কোড্ডায় ৩৬৫ মেগাওয়াট সমন্বিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, গাজীপুরে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, দাউদকান্দি ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, ফেঞ্চুগঞ্জ ২০০ মেগাওয়াট সমন্বিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, নোয়াপাড়া ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, মুন্সীগঞ্জের কমলাঘাটে ৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সিদ্ধিরগঞ্জে ৩৩৫ মেগাওয়াট সমন্বিত বিদ্যুৎকেন্দ্র (গ্যাস টারবাইন) ও সিদ্ধিরগঞ্জ ২২৫ সমন্বিত বিদ্যুৎকেন্দ্র (দ্বিতীয় ইউনিট)।
২০২১ সালের ভিতর দেশের কোনো ঘর যেন বিদ্যুৎ শূন্য না থাকে সেদিকে নজর রেখেই সরকার বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে এবং দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যে।