
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
বর্তমান আ.লীগ সরকার বাংলাদেশের জনগণ উন্নয়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন,এই করোনা কালীন সময়ে জনগণকে সচেনতার পাশাপাশি কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা রাখার জন্য নানান উদ্যোগ নিয়ে দেশকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
সরকার শান্তি সম্প্রীতির লক্ষে সকল ধর্মের প্রতি সহানুবতীশীল আছে। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে শান্তিতে বসবাসের জন্য ঘর দিচ্ছে। এদেশের শান্তি সম্প্রীতি ও দেশের উন্নয়ন চাইনা, যারা এই দেশকে বিনষ্ট করতে চাই, তারাই এদেশের উন্নয়নে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। খাগড়াছড়ি জেলাস্থ পানছড়িতে জ্যোতির্ময় কার্বারী পাড়ায় আর্য্যমিত্র বৌদ্ধ বিহারে ১৬ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলার বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি রুপনা চাকমা(কণি) প্রধান অতিথি ও প্রধান উপাসক থেকে এসব কথা বলেন ।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বৌদ্ধ ধর্মে গৌতম বুদ্ধ নিয়ম অনুসারে অহিংসা পরম ধর্ম। একে অপরকে শ্রদ্ধা বোধ রেখে সম্মিলত ভাবে কাজ করলে দ্রুত উন্নয়ন হবে ।
রুপনা চাকমা আরো বলেন, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি নেতৃত্বে খাগড়াছড়িতে শান্তি সম্প্রীতি রয়েছে। তার অবদানে জেলায় বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে উন্নয়নের কাজ চলছে। তিনি অসাম্প্রাদায়িক চেতনা নিয়ে খাগড়াছড়িকে শান্তি সম্প্রীতিতে সাঝিয়ে রাখছে।
তিনি আরো বলেন, যারা মানুষ নামে পশুর তুল্য সাম্প্রতি দূর্গা মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা, মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে সুতরাং একটি মহল শান্তি বিনষ্ট করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত , ষড়যন্ত্রকারীরা এই সব কাজ পরিচালনা করছে । এই সমস্ত ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে নানা আনুষ্ঠানিকতায় জ্যোতির্ময় কার্বারী দায়ক দায়িকাবৃন্দ আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব। দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন উপলক্ষে দূর দূরান্ত থেকে পূণ্য সঞ্চয়ী করার জন্য শতশত পূণ্যার্থীরা বিহারে সমাগম হয়েছে। পূণ্যার্থীরা বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, পানীয় দান, কল্পতরু দান সহ সকল দানীয় বস্তু দান করা হয়। জগতের সকল জীবের সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়।
বিহার অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সুদর্শী স্থবির ভান্তের উদ্যোগে আয়োজিত ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান ১৫দিন ব্যাপী বই পড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ কারীদের পুরস্কার বিতরন করা হয়। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগে প্রচার সম্পাদিকা মিত্র চাকমা। বিহার অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সুদর্শী স্থবির ভান্তের হাতে প্যাগোডা ভিত্তিক বই তোলে দেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলার বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি রুপনা চাকমা(কণি)। তিনি উন্নয়ন মূলক কাজে বিবেচনা করে পরবর্তীতে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
এসময় জেলা মহিলা আওয়ামী লীগে সম্পাদক অন্তরা খীসা,জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের তথ্য- প্রচার সম্পাদক মিত্রা চাকমা,সমাজসেবী ও দক্ষিণ খবং পড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিজয়া খীসা ও প্যাগোডা ভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ফিল্ড সুপারভাইজার দারুন বিকাশ ত্রিপুরা, সাংবাদিকসহ পূণ্যর্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিহারের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে পানছড়ি উপজেলায় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাস্তবায়নাধীন ” প্যাগোডা ভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প-২য় পর্যায় ১মসংশোধিত চলমান শিক্ষাকেন্দ্র ভূক্ত মির্জা টিলা লোকবল বৌদ্ধ বিহার,সংঘমৈত্রী বৌদ্ধ বিহার,নালকাটা আম্রকানন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন।