সাধারণ
Trending

লামা সদর ইউনিয়নর উনয়ন তুলে ধরেন চয়ারম্যান প্রার্থী মিটু কুমার সনর মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত।

লামা প্রতিনিধি :
পার্বত্য বাদরবান জেলার লামা সদর ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মিটু কুমার সন। ৬ নভেম্বর শনিবার সকালে লামা প্রেসক্লাব মিলনায়তন অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভা মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কার্তিক দাশ সহ বিভিন প্রিট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময়কাল প্রার্থী মিটু কুমার সন বলেন, আমি বিগত ১০ বছর যাবৎ লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করে আসছি। দায়িত্ব পালন করার পূর্বে আপনারা ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকা সম্পর্কে অবগত আছেন। বর্তমানেও আপনারা এলাকার সার্বিক চিত্র জানেন। আমার আন্তরিকতা দিয়ে ইউনিয়নের উন্নয়ন করার জন্যে নিরলসভাবে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর বাহাদুরের আন্তরিকতায় ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন চিত্র দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে।

মাতামুহুরী নদীর রাজবাড়ী মরাখাল ঘাট প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজ নির্মাণ করায় জনসাধারণর জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। পাপা খালের উপর ব্রিজ নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটি নির্মিত হলে দুর্গম এলাকার জীবনযাত্রার মান আরো পাল্টে যাবে। গত কয়েক বছর ইউনিয়নের ১০৩ টি গহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া সহ বয়োবৃদ্ধ, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্যে সেলাই মেশিন সহ বিভিন প্রশিক্ষণ, অনুদান প্রদান সহ গরীবদেরকে ১০টাকা মূল্য চাল প্রদান করা হয়েছে। ভিজিডি কর্মসূচীর মাধ্যমে অসহায় নারীদেরকে সহায়তা প্রদান অব্যাহত আছে।

পাপা সড়কের প্রায় ৮ কিলামিটার রাস্তা নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন আছে। ২-৩ মাসের মধ্যেই সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ইউনিয়নের মসজিদ, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, হেফজখানা, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা সহ সামাজিক ও ধর্মীয় উন্নয়নে অনুদান প্রদান করে সকলের সাথেই আছি। পুরো ইউনিয়নকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার জন্য কাজ চলছে। যে সকল এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব নয়, সেসব এলাকায় বিনামূল্য সোলার লাইট বিতরণ করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্যে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কম বেশি অনুদান করেছি। মরাখালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জুনিয়র হাই স্কুলে উন্নিত করা হয়েছে। অসংখ্য অভ্যন্তরিন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সহ ই্উনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করেছি। অসম্পূর্ণ কাজগুলা সম্পন্ন করার জন্যে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক উননয়নের মাধ্যমে জনগণের সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি কৃষি খাতের উন্নয়নে কৃষকদের কৃষি উপকরণ ও প্রণোদনা প্রদান করেছি। তিনি আরো বলেন, দায়িত্ব পালনকাল কখনো সাম্প্রদায়িকতাকে লালন করিনি। গত ১৪ অক্টোবর লামা বাজারে একটি অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে। অথচ আমার প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান প্রার্থী ওই বিষয়টিকে পুঁজি করে ঘোলা পানিতে মাছ চেষ্টা করছেন। ভোটারদের কাছে গিয়ে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে উপস্থাপন করে নির্বাচনী পরিবেশকে নিজের অনুকূলে নেওয়ার চষ্টা করছেন।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button