রাজনীতি
লংগদুতে স্পীডবোর্ট দুর্ঘটনায় নিখোঁজ দুজনের লাশ উদ্ধার

.গোলামুর রহমান,লংগদু প্রতিনিধি : রাঙামাটি লংগদুতে বালুভর্তি বোট ও স্পিডবোট এর মুখোমুখি সংঘর্ষের ৩৬ ঘন্টা পর জেলেদের জালের সাথে উঠে আসে নিখোঁজ দুজনের মধ্যে একজন কলেজ শিক্ষার্থী রিটনের লাশ। পরে সকাল ৬টার দিকে ভেসে উঠে এলোমিনা চাকমার মরা দেহ।
রবিবার (০৬ নভেম্বর) রাত ২.০০টার সময়, কাপ্তাই লেকে জেলেদের জালে আটকে ভেসে আসে রিটনের নিথর দেহ। ঘটনা স্থানে ফায়ারসার্ভিসের ডুবুরি দল ও লংগদু থানা পুলিশ উপস্থিত থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে সকালে যখন এলোমিনার লাশ ভেসে উঠে,তখনো পুলিশ ফায়ারসার্ভিসের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুত্রে জানাযায়, গত ৪ নভেম্বর দুপুর ২.২০ টার সময় দুর্ঘটনার পর থেকে পুলিশ এবং ফায়ারসার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার অভিযানে রয়েছে। পরে লংগদু থানার এস আই মশিউর রহমান ও এস আই শাহাবুর আলম শিহাবের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম শনিবার দিবাগত রাত ২.০০ টার সময় জালের সাথে আটকে উঠে আসে নিখোঁজ দুজনের মধ্যে একজন। যার ঠিকানা রিটন চাকমা (২০), পিতা মুক্ত লাল চাকমা, গ্রাম ক্যাংড়াছড়ি, বাঘাইছড়ি, এবং সকাল ৬টায় এলোমিনা চাকমা (২০), পিতা সুরুত চাকমা, গ্রাম হাজাছড়া সুবলং বরকল, তাদের পৃথকভাবে উদ্ধা করে লংগদু থানায় নিয়ে আসে।
এবিষয়ে লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল বলেন, আমাদের পুলিশ ফায়ারসার্ভিসের সাথে উদ্ধার অভিযানে প্রথম দিন থেকে ঘটনা স্থানে ছিলো আছে। নিখোঁজ দুজনের মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। আরেকজনও আশাকরি উদ্ধার হবে।
উল্লেখ্য ৪ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর ২.২০টার বাঘাইছড়ি থেকে ছেড়ে আসা স্পিডবোট ও রাঙ্গামাটি থেকে ছেড়ে আসা বালুভর্তি বোট কে ধাক্কামেরে স্পিডবোট টি ঘটনা স্থানে ভেঙ্গে মুড়সে তলিয়ে যায়। বোটে থাকা চালক সহ নয়জনের মধ্যে সাত আহত হয় এবং বাকি দুজন নিখোঁজ হয়।