মানিকছড়িতে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার


admin প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১০, ২০২৪, ৬:০১ অপরাহ্ন /
মানিকছড়িতে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার

মানিকছড়ি সংবাদদাতা:-

মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার। বুধবার সকাল থেকে কাঁসর, ঘণ্টা, শঙ্খ আর উলু ধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয়ছে এর আনুষ্ঠানিকতা।

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন আসেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।

পরিদর্শনকালে উপজেলা সদরের শ্রী শ্রী রাজশ্যামা কেন্দ্রীয় কালি মন্দিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারি দপ্তর প্রধান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পূজা উদযাপন ও মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সভাপতি মো. এনামুল হক এনাম, জামায়াতে ইসলামীমের উপজেলা আমির মাঃ মনিরুজ্জামান প্রমূখ।

সভায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শারদীয় দূর্গাপূজা পালিত হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে। যাতে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। তারপরও যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খরব পাওয়া যায়, সেক্ষেত্র দ্রুত প্রশাসনকে অবহিত করারও অনুরোধ জানা তারা। সেই বুধবার থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে ধর্মীয় বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাৎসব উদযাপনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন বক্তারা। সভা শেষে উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন অতিথিরা।

এ সময় মানিকছড়ি সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার একেএম কামরুজ্জামান, মানিকছড়ি থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সভাপতি মো. এনামুল হক এনাম, সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন, পূজা উদযাপন পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি বাবুল দেওয়ানজীসহ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারি দপ্তর প্রধান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পূজা উদযাপন-মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।