মানিকছড়িতে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের দায়ে এক মাসের জেল-জরিমানা


admin প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫, ৮:২১ অপরাহ্ন /
মানিকছড়িতে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের দায়ে এক মাসের জেল-জরিমানা

মানিকছড়ি, প্রতিনিধি

রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের দায়ে পৃথক অভিযানে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে মো. আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে পৃথক অভিযানে ১ লাখ টাকা জরিমানা, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনে দুটি মামলা ও একটি ফেলুডার জব্দ করা হয়েছে। উক্ত অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাফকাত আলী।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বড়বিল এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ১৫(১) ধারায় মো. খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়েছে। দুপুরে উপজেলার ডাইনছড়ি এলাকায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অপরাধে মো. আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এদিন দুপুরে উপজেলার মরাডলু স্কুল টিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিবেশ আইনে  মো. রাসেল ও মো. নুর ইসলামের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়ে।

অন্যদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার গাড়িটানা এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে মো. আবু তাহের ও জানে আলমের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি ফেলুডার জব্দ করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাফকাত আলী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে রাতের আধারে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের এসব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে জড়িত এক ব্যক্তিকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা পরিমানা, পরিবেশ আইনে দুটি মামলা ও একটি ফেলুডার জব্দ করা হয়েছে। রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তবে বিভিন্ন সময়ে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে জেল-জরিমানা ও পরিবেশ আইনে নিয়মিত মামলা হলেও অবৈধভাবে রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত মূল হোতারা সুকৌশলে বেঁচে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করছেন সচেতন মহল। আর সক্রিয় চক্রের মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনা না গেলে এসব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা সম্ভব না বলেও মন্তব্য করেন তারা। তাই জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।