মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই বিধবা বেদেনা আক্তারের

সুজন বড়ুয়া : বর্তমান জনবান্ধব সরকারের আমলে লক্ষ লক্ষ গৃহহীন পরিবারের বাসস্থান জুটলেও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই বিধবা বেদেনা আক্তারের। বেদেনা আক্তারের বেদনাই যেন শেষ হচ্ছে না। কারো বাড়িতে ৫ বছর কারো বাড়িতে ২ বছর এভাবেই কাটছে তার জীবন। সাথে আছে কন্যা সন্তান। খাগড়াছড়ি সদর শালবনের বাসিন্দা বেদেনা আক্তারের স্বামী মো: কাঞ্চন মিয়া হৃদ রোগে আক্তান্ত হয়ে ২০০৩ সালে মৃত্যু বরন করেন। তখন বেদেনা আক্তারের কন্যা সন্তানের বয়স ছিল মাত্র ৩মাস। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই অন্যের বাসায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে বেদেনা আক্তার। কিন্তু এখন বিভিন্ন অসুস্থতার কারনে ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না তিনি।
১৭ বছর পর সমাজসেবা কর্তৃক ২০১৯ সালে বিধবা ভাতার কার্ড পান তিনি । অসহায় বেদনা আক্তার, শত কষ্ট করে হলেও নিজ সন্তানকে সুশিক্ষিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার কন্যা তাসলিমা আক্তার খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ -২০২১ বর্ষের এসএসসি পরীক্ষার্থী। বাবা ও ভাইয়ের আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না। তারপরও যতটুকু সম্ভব বেদেনা আক্তার কে সহায়তা করে, তবে প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। গৃহহীন বিধবা বেদেনা আক্তার বলেন, ‘‘আমার আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। কোন দিন কাহারো দুয়ারে হাত পাতিনি। নিজের পরিশ্রমের বিনিময়ে মেয়ের লেখা-পড়ার খরচ ও সাংসারিক খরচ চালিয়ে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন একজন মানুষ ও গৃহহীন থাকবে না। আমারতো ঘরবাড়ি কিছুই নেই। আমি কি প্রধানমন্ত্রীর ঘর পাবো না? না হয়, আমার মেয়েটাকে একটা চাকরি দিক আমার আর কিছু লাগবেনা। এখন অসুস্থ শরীর নিয়ে কাজ করতে অনেক কষ্ট হয়। ডিসি স্যার বা কর্তৃপক্ষের যদি এই অভাগিনীর প্রতি সু-দৃষ্টি পড়ে তাহলে হয়তো মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে’’।