মহালছড়ির সিঙ্গিনালা মহামুনি বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত

সুজন বড়ুয়া ঃ মহালছড়ির সিঙ্গিনালা মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম ২৫ তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ নভেম্বর রবিবার শুরু হওয়া এ আয়োজনে চীবর দান ছাড়াও সংঘ দান, অষ্টপরিস্কার দান ও ৮১ টি বুদ্ধমুর্তি উৎসর্গ করা হয়। তাছাড়া বিশ^শান্তি কামনায় ও করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধের জন্য দুপুর ১২ টা হতে টানা ৭২ ঘন্টাব্যাপী ১১ তম অভিধম্ম পট্ঠান পাঠ আগামী বুধবার দুপুর ১২ টায় শেষ হবে।
মংছুপ্রু মারমার সভাপতিত্বে চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, সিঙ্গিনালা খাগড়াছড়ি জেলার অন্যতম স্বনাধন্য গ্রাম। এই বিহারের কাজ সম্পন্ন হলে দেখার মতো একটি বিহার হবে। বিভিন্ন দানশীলদের দান করা ৮১টি বৌদ্ধমূর্তি স্থাপন সম্পন্ন হলে এটি আরো আকর্ষনীয় দেখাবে। দুর-দুরান্ত থেকে পুন্যার্থীদের মননে আকৃষ্ট করবে। তিনি আরো বলেন, করোনা থেকে নিজে যেমন বাঁচতে হবে পাশাপাশি পরিবার পরিজন তথা এলাকাবাসীকেও বাঁচাতে হবে। তাই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে চলতে হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন বিহার থেকে ৯০ জন পুজনীয় বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ৪০ জন শ্রমন অংশগ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মদেশক হিসেবে দেশনা দেন সিঙ্গিনালা মহামুনি বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধক্ষ্য ভদন্ত সুমনা মহাস্থবির। তিনি কঠিন চীবর দান ও বৌদ্ধ মুর্তি দানের সুফল সম্পর্কে দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের রাউজান আবুরখীল গ্রামের বাসিন্দা ফ্রান্স প্রবাসী অভিজিৎ বড়ুয়া কনিষ্ঠা কন্যা অংকিতা বড়ুয়ার নামে ৫০ টি বুদ্ধমুর্তি দান করেন। খাগড়াছড়ি পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ধর্মঘর এলাকার বাসিন্দা ম্রাসাথোয়াই মারমা আম্রা ১ টি ও অন্যান্য ধর্মপ্রান ব্যক্তিরা বিভিন্ন সংখ্যায় বুদ্ধমূর্তি দান করেছেন।
আগামী বুধবার দুপুর ২ টায় ধর্মদেশনা শুরু হয়ে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলবে। দেশনা শেষে সন্ধ্যা ৭ টা হতে ১০০ টি ফানুস উড়ানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।