মহালছড়ির মুড়াপাড়া ও যৌথখামার ত্রিপুরা পাড়া বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত

রিপন ওঝা : খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি সদর ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের মুড়াপাড়া ও যৌথখামার ত্রিপুরা পাড়ার দুই শতাধিক পরিবার বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত। সৌর সোলারের সুবিধার আওতায় প্রায় ২০ পরিবার। যেখানে মহালছড়ি সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরেও বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে সেখানে ১ কিলোমিটারের অভ্যন্তরে থাকা দুই গ্রামের বাসিন্দারা এখনও বিদ্যুতের আলো হতে বঞ্চিত। গ্রামের পাশে রয়েছে এপিবিএন এলাকা।
উক্ত দুই পাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিসেফ’র দুটি স্কুল, প্যাগোডা, রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও ত্রিপুরা ছাত্রাবাস রয়েছে। স্কুলগুলোতেও ব্যাহত হচ্ছে আধুনিক শিক্ষা কার্যক্রম।
যৌথখামার গ্রামের বাসিন্দা বিনন্দ ত্রিপুরা বলেন, ‘এই গ্রামের বাসিন্দাদের আধুনিক সুযোগ সুবিধার জন্য বিদ্যুতের কোন বিকল্প নেই। বিদ্যুতের না থাকায় ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনাসহ সবকিছুর সমস্যা হচ্ছে ।
মুড়াপাড়া গ্রামবাসী সানুমং মারমা বলেন, আমরা বর্তমান সরকারের আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার হতে পিছিয়ে আছি এমনকি আমাদের এলাকার জনসাধারণের মোবাইল চার্জ দিতে হলেও এপিবিএন এলাকার স্কুল ক্যান্টিনের বারান্দায় যেতে হয়।
গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দোঅংপ্রু মারমা বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদুৎ বিতরণ উন্নয়ন প্রকল্প, রাঙ্গামাটি বরাবর আবেদন করা হয়েছিলো। ওই প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সুফল পাওয়া যায়নি।’ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী মুজিববর্ষ উদযাপনের মধ্যে দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশে তথা গ্রামের আনাচে কানাচে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। এই আশায় প্রহর গুনছেন এই গ্রামে প্রায় ২শ পরিবার। তাই আমরা এলাকাবাসী আশা করছি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সাংসদের মাধ্যমে আমাদের এলাকায় অতিদ্রুত বিদ্যুৎ সেবা পাবো।
এ বিষয়ে মহালছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী ইরাতোষ চাকমার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঐ এলাকার বিষয়ে তিনি অবগত নন তবে চেষ্টা করবো যাহাতে ঐ এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুতের সংযোগ পায়।’
এ ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী আসফাকুর রহমান মুজিবের সঙ্গে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষের ভেতরে (পরবর্তী বাজেটে) ঐ এলাকায় বিদুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’