সাধারণ

ভারতের ক্ষমতাশীন বিজেপি নেতার স্পর্ধা ! বাংলাদেশ দখলের হুমকি

কোন পরাশক্তির ভরসায় না থেকে মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক সামরিক সকল দিক থেকেই দেশকে স্বয়ং সম্পূর্ণ করা উচিত। নয়ত একদিন কাশ্মির, ফিলিস্তিন বা রোহিঙ্গা মুসলমানদের মতো পরিণতি হতে পারে আমাদের।

সবুজ পাতা ডেস্ক : ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতা সুব্রহ্মন্যম স্বামী এবার বাংলাদেশ দখলের হুমকি দিলেন। অতীতে বাংলাদেশ নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
এই নেতার অভিযোগ, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এই নির্যাতন বন্ধ না হলে বাংলাদেশ দখলে নিয়ে দিল্লির শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে।
রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের সীমান্তসংলগ্ন রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সুব্রহ্মন্যম স্বামী বলেন,
‘অনেক হিন্দু মন্দির বলপূর্বক দখল করে নেওয়া হচ্ছে এবং বাংলাদেশের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদের উপরে চাপ সৃষ্টি করে তাদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে ক্রমাগত আক্রমণ হচ্ছে। এই প্রবণতা অবিলম্বে বন্ধ না হলে দখল করে নেয়া হবে বাংলাদেশ। হিন্দুদের বিরুদ্ধে ‘পাগলামি’ বন্ধ না হলে বাংলাদেশ দখল করতে হবে। আমি সরকারকে সেই পরামর্শই দেব’।”
বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সুখে-শান্তিতে বসবাস করছে। অতীতে কোন সরকারের আমলেই সংখ্যালঘুরা এত সুযোগ সুবিধা পায় নি। আমরা বাংলাদেশীরা সকল সম্প্রদায়ের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী।
আট লাখের ও অধিক ভারতীয় বাংলাদেশে কর্মরত রয়েছে। অথচ ভারতে গো মাংস ভক্ষণের অজুহাতে শত শত মুসলমানকে পিঠিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের জন্য বর্তমান সরকার যা করছে তা নজির বিহীন।
উল্লেখ্য, অতীতেও বাংলাদেশ নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এই বিজেপি নেতা। ২০১৪ সালের এপ্রিলে তিনি দাবি করেন, দেশ ভাগের পর বাংলাদেশ থেকে এক তৃতীয়াংশ মুসলমান ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। তাই তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে হবে অন্যথায় খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভূখ- ভারতের কাছে ছেড়ে দিতে হবে।
সম্প্রতি রাজস্থাানের এক সমাবেশে ভারতীয় জনতা দল-বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলেন, ‘‘বাংলাদেশি অভিবাসীরা ‘উইপোকা’।তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর ইউরোপীয় শাখার পরিচালক অন্ড্রু স্ট্রোহলেইন বলেন, ‘অমিত শাহ’র মন্তব্য গণহত্যার প্রস্তুতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।’ তিনি আপত্তিকর এবং অতি পরিচিত একটি সীমা অতিক্রম করেছেন। সেটি হলো গণহত্যার প্রস্তুতির সীমা। যেকোন গণহত্যার ও জাতিগত বর্বরতার আগে ক্ষমতাবান রাজনৈতিক নেতারা মানুষকে ‘উইপোকা’ ‘তেলাপোকা’ ইত্যাদি প্রাণীর সঙ্গে তুলনা করেন’।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, ভারতের ক্ষমতাশীন দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের দাম্ভিকতা কুটনৈতিক পন্থায় জোরালো প্রতিবাদ জানানো উচিত।

কোন পরাশক্তির ভরসায় না থেকে মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক সামরিক সকল দিক থেকেই দেশকে স্বয়ং সম্পূর্ণ করা উচিত। নয়ত একদিন কাশ্মির, ফিলিস্তিন বা রোহিঙ্গা মুসলমানদের মতো পরিণতি হতে পারে আমাদের।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button