সাধারণ

বৈসাবি উৎসবে মেতেছে পার্বত্য জনপথ

 

আনোয়ার হোসেন : বৈসাবি উৎসবে মেতেছে পার্বত্য জনপথ। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে খাগড়াছড়ির প্রধান তিন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকজন পালন করছে বৈসাবি। ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিঝু’ নামে এ উৎসব পালন হয়ে থাকে। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়। ১২ এপ্রিল ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসু উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ি সদরে বর্নিল শোভাযাত্রা বের করা হয়। সাদা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাক্সফোর্স চেয়ারম্যান ও স্থাানীয় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। খাগড়াপুর এলাকায় সপ্তাহ ব্যাপী বৈসু মেলার উদ্বোধন করে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক। মেলায় ত্রিপুরাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে ত্রিপুরাদের এতিহ্যবাহী গড়িয়া নৃত্য। এ সময় উপস্থিাত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি (বীর মুক্তিযোদ্ধা) রণ বিক্রম ত্রিপুরা,খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গাজী মুহাম্মদ সাজ্জাদ,খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: শহীদুল ইসলাম,পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান,সাবেক টাক্সফোর্স চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা,জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল,শতরূপা চাকমাসহ বিভিন্ন সামরিক-বেসমারিক,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

১২ এপ্রিল ঐহিত্যবাহী পোশাকে চেঙ্গী নদীতে ফুল দিয়ে দেবতার উদ্দেশে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে চাকমা সম্প্রদায়ের বিজুর আনুষ্ঠানিকতা।
মুলত পুরানো বছরের সকল দুঃখ, গ্লানি মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে তারা এ ফুল নদীর পাড়ে রেখে আসেন। এ সময় তরুণ-তরুনীরা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে নদীর পাড়ে মিলিত হয়। ১৩ এপ্রিল চাকমা সম্প্রদায়ের মূল বিঝু আর পহেলা বৈশাখ হলো তাদের গজ্জাপয্যা। একই দিনে ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন।
১৪ এপ্রিল রবিবার মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, ঐতিহ্যবাহী জেলকেলি বা পানি খেলা। রবিরার প্রশাসানের পক্ষে বর্ষবরন উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button