নিজস্ব প্রতিনিধি:
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পলি- প্রাংশা এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল কেএনএফ এক শীর্ষ কমান্ডারসহ দুই জন নিহত হয়েছে। সময় একজন কেএনএফ সদস্য কে আটক করা হয়েছে। বান্দরবান রুমা সেনা জোনের অধিনায়ক লে:কর্নেল মো: আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বুধবার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর একাধিক দল রুমা উপজেলার দুর্গম পলি- প্রাংসার তাইংতাং এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় সেনাবাহিনী উপস্থিতি টের পেয়ে কেএনএফ সদস্যরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এসময় দুপক্ষের মধ্যে প্রায় তিন ঘন্টা গুলি বিনীমযের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান এলাকা তল্লাশি চালিয়ে কেএনএফ এর মেজর পুটিং প্রকাশ ডলিসহ তার এক সহকর্মীর লাশ উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৩টি অত্যাধুনিক এসএমজি, ১টি চাইনিজ রাইফেল, ৩৬৪ রাউন্ড এ্যামুনিশনসহ বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জামাদি ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় আহত অবস্থায় ১জন কেএনএফ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান,পার্বত্য এলাকায় কোন সন্ত্রাসী গোষ্টির অপতৎপরতা বিন্দু মাত্র বরদাস্ত করবেনা সেনাবাহিনী। এই সব বিচ্ছিন্নতাবাদী কেএনএফ এর অত্যাচারে রুমা,থানছি ও রোয়াংছড়ি উপজলার নীরিহ বম জনগোষ্টির অনেক পরিবার নিরাপদে আশ্রয় নিতে ভারত ও মিয়ানমারে চলে যায়। সেনাবাহিনীর বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিলে এলাকার পরিস্থিত স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এলাকার ছাড়া নীরিহ বম জনগোষ্টির লোকজনের সাথে সেনাবাহিনী যোগাযোগ করে দেশে এবং এলাকায় ফরিয়ে নিয়ে আসে। অসহায় এসব পরিবার গুলো পাশে সেনাবাহিনী দাঁড়িয়ে খাবার,বস্ত্র,ঘর তৈরীসহ নানান সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান,সেনাবাহিনীর সহায়তা ও হস্তক্ষেপ যখন এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফরে আসতে শুরু করে ঠিক তখনই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ এর কথিপয় সদস্য এলাকায় আবারো সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাস্থল ও রুমা সেনা জোন পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম ২৪ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মীর মো: মুশফিকুর রহমান। এসময় তিনি রুমা সেনা জোন পরিদর্শনকালে সেনা সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধিমুলক নানান নির্দেশনা প্রদান করেন।
আপনার মতামত লিখুন :