সাধারণ

বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ১৪২৭ সনের অগ্রহায়নী বন্দের ২৫০ কেজি রেশম গুটি সংগ্রহ

সবুজ পাতার ডেস্ক ঃ রেশম চাষীদের কাছ থেকে ২৫০ কেজি রেশম গুটি সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড, খাগড়াছড়ি। ১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি রেশম সম্প্রসারন কেন্দ্রের তালিকাভুক্ত ৭১ জন চাষীর কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ৪০০ টাকা কেজি মূল্যে এই রেশম গুটি সংগ্রহ করেছে এ প্রতিষ্ঠান।
রেশম সম্প্রসারন কেন্দ্র, খাগড়াছড়ি কার্যালয়ে রেশম গুটি সংগ্রহকালে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় ম্যানেজার ( সম্প্রসারণ) সিদ্ধার্থ শংকর চক্রবর্তী জানান, ২০২০-২১ অর্থ বছরে ‘‘রেশম চাষ সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে পার্বত্য জেলা সমূহের দারিদ্র বিমোচন’’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ৭ টি উপজেলার ৩৮০ জন চাষীর মাঝে ৭৬ হাজার তুঁতচারা বিতরণ করা হয়।

বিগত বছরে খাগড়াছড়ির রেশম চাষীরা ১৪ হাজার রেশম ডিম পালন করে মোট ৫ হাজার ৭ শত ২৫ কেজি রেশম গুটি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। তার মধ্যে সরকারী পর্যায়ে ৫২১ কেজি রেশম গুটি সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, চলতি বছরে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে খাগড়াছড়িতে ২ টি ‘‘রেশম কীট চাকী রিয়ারিং কাম ডেমোনেস্ট্রেশন সেন্টার’’ এবং ১ টি ‘‘সিল্ক রিলিং ও উইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’’ স্থাপনের জন্য সরকারীভাবে ভূমি অধিগ্রহন কার্যক্রম চলছে।
বেলতলী আদর্শ রেশম পল্লীর মাঠকর্মী খগেশ^র ত্রিপুরা বলেন, রেশম চাষ খুবই লাভজনক। প্রকল্পের স্থায়ীত্ব না থাকায় কর্মচারীরা আর্থিকভাবে অসুবিধায় থাকে। সরকার দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প গ্রহন করলে চাষীদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জন সহজ হবে।
বেলতলী খামার পাড়ার রেশম চাষী ক্রায়ো মারমার মতে, রেশম গুটির সরকারী মূল্য অপেক্ষাকৃত কম। রেশম চাষে কোন সরকারী/ প্রকল্পের ঋনের ব্যবস্থা নাই। তাই সরকারী বা প্রকল্পের মাধ্যমে ঋনের ব্যবস্থা করা হলে মানুষ রেশম চাষে আরো বেশী আগ্রহী হতো।

ভাইবোনছড়ার রেশম চাষী চিংম্রা মারমা বলেন, রেশম গুটির সরকারী দাম ৪০০ টাকা। বাইরে বিক্রি করলে প্রতি কেজি ৫০০-৬০০ টাকা পাওয়া যায়। বাইরের মানুষ এতো টাকায় কিনতে পারলে সরকার কেন পারে না? তাছাড়া শুকনো গুটির পরিবর্তে কাঁচা গুটি বিক্রি করতে পারলে আমাদের আরো লাভ হতো। রেশম গুটি শুকিয়ে সরকারী দামে বিক্রি করায় আমাদের তেমন লাভ থাকে না।
রেশম গুটি সংগ্রহ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রেশম সম্প্রসারণ কেন্দ্র, খাগড়াছড়ির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, রেশম চাষী, পার্বত্য প্রেসক্লাবের সভাপতি দেব প্রসাদ ত্রিপুরা, সম্পাদক মো: জুলহাস উদ্দিন, সদস্য সুজন বড়ুয়া, সাংবাদিক মাইন উদ্দিন প্রমুখ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button