বন্য হাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ লংগদু উপজেলার পূর্ব পাড়ের মানুষ।

মো. গোলামুর রহমান, লংগদু (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার কাচালং নদীর পূর্ব পাড়ে ভাসান্যাদম,বগাচতর ও গুলশাখালীতে বিশেষ করে ভাসন্যদম ও বগাচতরের কিছু সংখ্যক এলাকায় প্রতিনিয়ত বন্য হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ। ১৫ই জানুয়ারী শনিবার দিবাগত রাত ৯ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত অনেকের বাড়িতে বন্য হাতি হানা দেয়। এসময় মারিশ্যাচর এলাকার নুরুল ইসলামের ছোট বসত ঘরটি ভাংচুর করে ঘরে থাকা চাল, ঢাল খেয়ে ফেলে।নুরুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া বলেন,এমনিতেই আমরা অসহায় কিছু দিন পর পর হাতি এসে আমাদের ক্ষতি করে। যদি কোন দিক থেকে দু এক বান টিন পেতাম, তাহলে ঘরের বেড়ার কাজটি করে নিতে পরতাম।তাহলে হয়তো হাতির আক্রমণ থেকে কিছুটা রক্ষা পেতাম। অপর দিকে জয়নাল মিয়ার টমেটু গাছ ও টমেটু ক্ষেত দুমড়ে মুষড়ে নষ্ট করে ফেলে। আবুল কালামের ব্রো ধান চাষাবাদ করার জন্য যে ধানের বীজ রোপন করে তা খেয়ে নষ্ট করে। যাতে করে হতাশায় বিভোর চাষী কালাম। তিনি বলছে আমি জমিতে ধান রোপনের জন্য লোক নিয়েছিলাম, কিন্তু ভাগ্য এতো খারাফ রাতে হাতি এসে অধিকাংশ বীজ ধান(ঝালা) নষ্ট করে ফেলে।এছাড়াও আরো অনেকের ধান ক্ষেতে গিয়ে ফসলি নষ্ট করে। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, হাতিও দেশের সম্পদ। হাতির সাথে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। তবে সকলের সচেতন থাকতে হবে, যাতে করে কারো প্রাণহানি না হয়।বর্তমানে বিভিন্ন পয়েন্টে যে ভাবে সোলার লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে, এভাবে আরো কিছু জায়গায় তা স্থাপন করা দরকার। তাহলে হয়তো কিছুটা স্বাভাবিক থাকা যাবে। আর এর আগেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাতির আক্রমনে ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করা হয়েছিলো। বর্তমান ক্ষতিগ্রস্তরাও এমনটা আশাবাদী দাবী ভুক্তভোগীদের।