সাধারণ

পেশী শক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সরকারি ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ বিধ্বংসী টিনের চিমনীর অবৈধ ইটভাটার রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে খাগড়াছড়ির হাজী রাশেদ উদ্দিন

 

সবুজ পাতার ডেস্ক : সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সওজের জায়গা দখল করে পরিবেশ বিধ্বংসী টিনের চিমনী ব্যবহার করে প্রাকৃতিক বনের অপরিপক্ষ গাছ জ¦ালানী হিসেবে ব্যবহার করে সংরক্ষিত বনাঞ্চল, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বাজার সংলগ্ন জনবসতি পূর্ণ এলাকায় পেশি শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ইট ভাটার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের বাসিন্দা হাজী রাশেদ উদ্দিন।
খাগড়াছড়ি জেলায় প্রায় ৪০টি মতো অবৈধ ইট ভাটা রয়েছে। অবৈধ ইট ভাটা গুলো একদিকে যেমন সরকারের ভ্যাট ট্রাক্স ফাঁকি দিচ্ছে অপরদিকে আইনের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধ ইট ভাটা স্থাপন করে প্রাকৃতিক বনের অপরিপক্ক গাছ জ¦ালালি হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে যেমন জ¦ালানী কাঠ থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না, তেমনি পরিবেশেরও অপূরণীয় ক্ষতি করছে। জেলার অবৈধ ইট ভাটা গুলোর মধ্যে সর্বচেয়ে বেশি দূষণ ছড়াচ্ছে মাইসছড়িতে স্থাপিত হাজী রাশেদ উদ্দিনের টিনের চিমনীর অবৈধ ইট ভাটাটি। প্রশাসন প্রতি বছর গুটি কয়েক ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে দায়সারা ভাবে সামান্য কিছু টাকা জরিমানা করে।
মাইসছড়ি এলাকা বাসির আক্ষেপ থাকলেও হাজী রাশেদ উদ্দিনের পেশি শক্তির ভয়ে পরিবেশ বিধ্বংসী অবৈধ ইট ভাটার বিষয়ে কেউ আইনের আশ্রয় নিতে সাহস পায় না। রাশেদ উদ্দিন খাগড়াছড়ি জেলায় নামে-বেনামে একাধিক অবৈধ ইট ভাটা পরিচালনা করেন। লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইট ভাটায় ভ্যাট-ট্যাক্স দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভ্যাট ট্যক্স ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে বনের কাঠ ইট ভাটায় জ¦ালানী হিসেবে ব্যবহারের ফলে হাজী রশেদ উদ্দিনের অর্থনৈতিক অবস্থা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতো। বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ডে উট পাখি মার্কায় কাউন্সিলর পদে প্রতিদ¦ন্ধিতা করছেন। প্রতি বছর পরিবেশ বিধ্বংসী অবৈধ ইট ভাটার বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও অজানা কারণে প্রশাসনের তেমন টনক নড়েনি। চলমান …

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button