সাধারণ

পাহাড়ী শরণার্থী তালিকা বাতিলের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি

 

প্রতিনিধি : ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী ও আভ্যন্তরীন উদ্ভাস্ত বিষয়ক টাস্কফোর্স কর্তৃক মায়ানমার ও ভারতীয় ৮২ হাজার পরিবারকে আভ্যন্তরীন উদ্ভাস্ত সাজিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে “পূনর্বাসন ষড়যন্ত্র” বন্ধের দাবী ও প্রকৃত আভ্যন্তরীন উদ্ভাস্ত ৩৮ হাজার বাঙালি পরিবার কে পূনর্বাসন করার দাবীতে শহরের শাপলাচত্তরে অবস্থাান কর্মসূচি পালন করে পার্বত্য অধিকার ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখা। অবস্থাান কর্মসূচি শেষে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
৯ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরে পার্বত্য অধিকার ফোরাম, নারী অধিকার ফোরাম, ছাত্র পরিষদ ও সোনা মিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির ব্যানারে অবস্থাান কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থাান কর্মসূচিতে পার্বত্য অধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙালী ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুম রানা এবং সোনা মিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেক বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, ২০ দফা প্যাকেজ চুক্তির আওতায় ১৯৯৭ সালে ভারত থেকে ১২,২২২ পাহাড়ী শরণার্থী পরিবার দেশে ফিরে আসে। প্যাকেজ চুক্তির আওতায় ২০০৮ সালে অধিকাংশ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী পুনর্বাসন টাস্কফোর্সের ৯ম সভায় ১২,২২২ পরিবারের পরিবর্তে ৮২ হাজার পাহাড়ী পরিবারকে উদ্বাস্তু দেখিয়ে তাদের পুনর্বাসনের জন্য ষড়যন্ত্রমূলক ভুয়া তালিকা প্রণনয় করা হয়েছে।

আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ষড়যন্ত্রমূলক তালিকা বাতিল করা না হলে ১৩ অক্টোবর টাস্কফোর্স অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। অবস্থাান কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে ৫ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স কর্তৃক মায়ানমার ও ভারতীয় ৮২ হাজার পরিবার কে “পূনর্বাসন ষড়যন্ত্র” বন্ধ করে গুচ্ছগ্রামে বন্দী ৩৮ হাজার আভ্যন্তরীন উদ্ভাস্ত বাঙালি পরিবারকে পূনর্বাসন করার দাবীতে পার্বত্য অধিকার ফোরামের অবস্থাান কর্মসূচি ও স্বারকলিপি প্রদান।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button