সাধারণ

পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২১ বর্ষপূর্তি উদ্যাপন

 

সবুজ পাতা ডেস্ক : পার্বত্য এলাকায় শান্তিচুক্তির ২১ বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করা হয়েছে। ২ ডিসেম্বর রবিবার দিবসটি তিন পার্বত্য জেলায় অত্যান্ত জাকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হয়েছে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করা হয়। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দুই দশকের বেশী সময় ধরা চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান হয়। কোন তৃতীয় দেশের হস্তক্ষেপ ছাড়াই সফলভাবে শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তি পরবর্তী সময়ে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতিমধ্যে চুক্তির ৮০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত আন্তরিক প্রচেষ্টায় সম্পাদিত শান্তি চুক্তি সুফল ভোগ করছে তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ মানুষ। চুক্তি পরবর্তী সময়ে পাহাড়ের শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ ব্যবস্থাার উন্নয়ন,বিদ্যুতায়নসহ মৌলিক অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
খাগড়াছড়ি-: রোববার সকালে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন এবং খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান হিসেবে উপস্থিাত থেকে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ির সাংসদ টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। উপস্থিাত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার মো.হামিদুল হক, ডিজিএফআই খাগড়াছড়ি ইউনিটের অধিনায়ক কর্ণেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, বজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল গাজাী মোহাম্মদ সাজ্জাদ, জেলা প্রশাসক মো.শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো.আহমার উজ্জামান,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী মো.নুরুজ্জামান, জেলা সিভিল সার্জন মো.শাহ আলম, জনস্বাস্থ্যা প্রকৌশী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সোহরাব হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, খোকনেশ^র ত্রিপুরা, খগেশ^র ত্রিপুরা এবং পদস্থা সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাার প্রতিনিধি, স্কুল কলেজের শিক্ষক/শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিকেল তিন টায় খাগড়াছড়ি জেলা স্টেডিয়ামে সম্প্রীতি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। কনসার্টে স্থাানীয় শিল্পী ছাড়াও অংশ গ্রহন করে ব্যান্ড দল সোলস। ।

বান্দরবান-: বান্দরবানে নানা আয়োজনে শান্তি চুক্তির ২১ বর্ষ পূর্তি উদ্যাপন করা হয়েছে।

সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থাানীয় রাজার মাঠে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। এ সময় উপস্থিাত ছিলেন জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম, রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল আমিন, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার জহিরুল হক খান, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, সিভিল সার্জন অংশৈ প্রু, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্ত দাশ, পৌর মেয়র ইসলাম বেবী, জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষ্মি পদ দাশ প্রমূখ ।
রাঙ্গামাটি-: শান্তিচুক্তির ২১ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিাত ছিলেন সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু। সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম শফি কামাল, ডিজিএফআই এর অধিনায়ক কর্ণেল মোঃ সামছুল আলম, রাঙ্গামাটি সদর জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ রেদওয়ানুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ জানে আলম এবং সাধন মণি চাকমা, সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, প্রবীন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে প্রমূখ।
সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার স্থাায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে অনেকগুলো ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে এবং বাকীগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকারের এই চুক্তি বাস্তবায়নে বাঁধাগ্রস্ত করতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। কারণ এই চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হলে পাহাড়ের নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাজি তারা করতে পারবেনা।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button