সাধারণ

পার্বত্য চট্টগ্রাম ফুটবল টুর্নামেন্ট ১৯ ফেব্রুয়ারি

 

প্রতিনিধি ঃ-১৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ফুটবল টূর্ণামেন্ট ২০১৯’। ১৪টি দলের অংশগ্রহণে নক-আউট পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এনডিসি।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও ক্রীড়া সংস্থাার সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম টুর্নামেন্টের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পুলিশ সুপার ও টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক মো: আহমার উজ্জামান, জেলা ক্রীড়া সংস্থাা’র সহ-সভাপতি ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থাার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা।
জেলা প্রশাসক মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, টুর্নামেন্ট’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিাত থাকবেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর খাগড়াছড়ি সেক্টর অধিনায়ক কর্ণেল গাজী সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমূখ।
জেলা প্রশাসক জানান, খাগড়াছড়ির খেলোয়াড় এখন দেশ-বিদেশে কৃতিত্বের সাথে লাল-সবুজ পতাকার প্রতিনিধিত্ব করছে। মহিলা ফুটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবল এবং ক্রিকেটেও আলো ছড়াচ্ছে। তাই জেলার ক্রীড়াঙ্গনকে গতিশীল রাখতে ধারাবাহিকভাবে ফুটবল, ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাধূলার আয়োজন করা হচ্ছে। স্টেডিয়ামের ব্যবস্থাাপনা-উন্নয়ন এবং নিরাপত্তাও জোরদার করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার মো: আহমার উজ্জামান এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে অর্থায়ন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য বোর্ড চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এডিশনাল আইজি নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা’র প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র ও জেলা ক্রীড়া সংস্থাা’র সহ-সভাপতি মো: রফিকুল আলম জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় বর্ণিল ডিসপ্লে শোসহ বিপুল সংখ্যক ক্রীড়ামোদী ও দর্শক সমাগমের জোর প্রস্তুতি রয়েছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থাা’র সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য জুয়েল চাকমা জানান, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে পর্দা উঠতে যাওয়া টূর্ণামেন্টে জেলার ১৪টি দল অংশগ্রহণ করছে। নক-আউট পদ্ধতির এই টুর্নামেন্ট-দেশ-বিদেশের খেলোয়াড়রাও অংশ নিতে পারবেন। চ্যাম্পিয়ন টিমকে প্রাইজমানি হিসেবে ১ লক্ষ এবং রানার্স-আপ টিমকে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ মারমা উন্নয়ন সংসদ এবং মহালছড়ি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাা একে-অপরের প্রতিদ্বন্ধিতা করবে।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button