প্রতিনিধি : পার্বত্য চট্টগ্রামে নারীদের ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি এবং প্রথাগত ভূমি ব্যবস্থাপনায় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে খাগড়াছড়িতে নারী হেডম্যান-কার্বারী নেটওয়ার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“পার্বত্য চুক্তির আলোকে ভূমিতে নারীর অধিকার নিশ্চিতকরণ”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রবিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনটি আয়োজন করে সিএইচটি নারী হেডম্যান-কার্বারী নেটওয়ার্ক।
সিএইচটি নারী হেডম্যান-কার্বারী নেটওয়ার্কের সভাপতি জয়া ত্রিপুরার সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, এবং প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন:
সম্মেলনে নারী হেডম্যান-কার্বারীরা পৈতৃক সম্পত্তিতে নারীদের সমান অধিকার ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিতকরণের দাবিতে ৭ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন:
সিএইচটি নারী হেডম্যান-কার্বারী নেটওয়ার্ক পার্বত্য অঞ্চলে নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি ভূমি অধিকার ও উত্তরাধিকারের স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে তারা সম্মেলন, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, প্রচারাভিযান ও লবিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী রাজা, হেডম্যান ও কার্বারী ব্যবস্থা অঞ্চলটির সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা, খাজনা আদায় ও ভূমি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। তবে, নারী নেতৃত্বের অভাব এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ না থাকায় নারীরা এখনো পিছিয়ে।
নারী নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে চাকমা ও মং সার্কেলের পক্ষ থেকে প্রতিটি মৌজায় নারী কার্বারী নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে:
সম্মেলনের আলোচনায় বক্তারা বলেন, শুধু নারী কার্বারী নিয়োগই যথেষ্ট নয়, বরং তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। তাহলে তারা সমাজ উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারবেন।
নারী হেডম্যান-কার্বারীদের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করা গেলে নারীদের ভূমি অধিকার ও সামাজিক মর্যাদা আরও সুসংহত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন :