পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৬ হাজার বাঙালি পরিবার কে পূনর্বাসনের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ

সবুজ পাতা ডেস্ক: পার্বত্য চট্টগ্রামে ২৬ হাজার আভ্যন্তরীন উদ্ভা¯‘ বাঙালি পরিবার কে পূনর্বাসন করার দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১ ঘটিকায় পার্বত্য অধিকার ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের চেঙ্গিস্কোয়ার হতে বিক্ষোভ শুরু হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্তরে এসে এক মানববন্ধনে মিলিত হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিাত ছিলেন পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক মো: এস এম মাসুম রানা। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন- বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক রবিউল হোসেন, জেলা শাখার সদস্য সচিব মো: ফারভেজ আহম্মেদ, দিঘীনালা উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি মো: সাদ্দাম হোসেন, বর্তমান সভাপতি মো: আলামিন, মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি মো: মোক্তাদির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো: সাহাবুদ্দিন,পার্বত্য নারী অধিকার ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি সালমা আহম্মেদ মৌ, সারারণ সম্পাদক আনোয়ারা সিরাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক কুলসুম বিবি প্রমূখ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুসারে ২২,০০০ উপজাতী পরিবারকে বসত ভিটা,চাষের জমি,নগদ টাকা সহ উপযুক্ত ভাবে পূর্নবাসন করা হয়। যদিও সরকারী হিসেবে ভারতে শরনার্থী হয়েছিল ১২,২২২ পরিবার। সর্বশেষ ২১ টি পরিবারকে খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালায় জামতলীতে পূনর্বাসন করা হয়। কিন্তু শন্তুলারমার নেতৃত্বাধীন বর্তমান জেএসএসের হত্যা নির্যাতনে উদ্ভা¯‘ ২৬ হাজার বাঙালি পরিবারকে এখন পর্যন্ত পূনবার্সনের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২২,০০০ উপজাতীয় পরিবারকে পূনর্বানের পর উপজাতীয়- ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী, আভ্যন্তরীন উপজাতীয় কোন উদ্ভা¯‘ ছিল না। তাহলে চুক্তি বাস্তবায়ন কারী বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের টানা ২ মেয়াদ সহ গত দীর্ঘ ১৬ বছরের মধ্যে ৮২ হাজার উদ্ভাস্তের খরব সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের কেউই জানতেন না। তাহলে হঠাৎ করে উপজাতীয় নেতৃবৃন্দ কোথা হতে নতুন করে এই ৮২ হাজার পরিবার বা চার লক্ষের বেশি উদ্ভাস্ত আবিস্কার করলেন? তারা এত দিন কোথায় ছিলেন? এখন তারা কোথায় আছেন? তালিকায় স্থাান পাওয়া ২১ হাজার ৯০০ পরিবার সহ ৮২ হাজার পরিবারের সদস্যরা কারা তার বিস্তারিত প্রকাশ করার আহবান জানাচ্ছি। পার্বত্য চট্টগ্রাম কে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের কাঙ্খিত জুম্মল্যান্ড বানাতে গোপনে মায়ানমার ও ভারত থেকে উপজাতীয় পরিবারকে রাতের আধারে সীমানা পার করে আভ্যন্তরীন উদ্ভাস্ত সাজানো হচ্ছে। ৮২ হাজার উপজাতীয় উদ্ভাস্তের তালিকা টি বাতিল করে ২৬ হাজার বাঙালি পরিবার কে পূনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহন করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানাই।
প্রতিবাদ সমাবেশে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়, মানিকছড়ি, সিন্দুকছড়ি ও কেয়াংঘাট এলাকার উল্টাছড়িতে উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙালিদের ভুমি দখল প্রতিরোধে ৫ দফা দাবী পেশ করা হয়:
১.উপজাতীয় নেতৃবৃন্দ কর্তৃক ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে প্রনীত তালিকা বাতিল করতে হবে।
২.বাঙালি নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে প্রকৃত উদ্ভা¯‘দের তালিকা প্রনয়ণ করতে হবে।
৩. ১৯৮৪-১৯৯৬ পর্যন্ত শান্তিবাহিনী তথা বর্তমান জেএসএসের হামলায় ঘরবাড়ি হারানো ও উদ্ভা¯‘ ২৬ হাজার বাঙালি পরিবারকে পূনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৪.খাগড়াছড়ি জেলায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের ভূমি দখল মিশনে দখলকৃত রামগড়ের পাতাছড়া ইউনিয়নের সংখ্যালঘুদের দখল কৃত ভূমি ফেরত দিতে হবে।
৫. দিঘীনালা. রামগড়,মানিকছড়ি, সিন্দুকছড়ি ও উল্টাছড়ি সহ ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীর দ্বারা দখলকৃত বাঙ্গালীদের ভূমি উদ্ধারে প্রশাসন কে কার্যকরী ব্যবস্থাা গ্রহন করতে হবে।