নিংপ্রু চাই মারমা বড় দুই ছেলে পঙ্গু অপর ছোট দুই জনও পঙ্গুত্বের দ্বারপ্রান্তে

প্রতিনিধি॥ খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে এক পরিবারের চার ভাইয়ের হাত-পা শুকিয়ে(চিকন) গিয়ে বিকলাঙ্গ হয়ে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে হাত-পা শুকিয়ে গিয়ে বিকলাঙ্গ হয়ে পঙ্গুত্ব বরন করেছে দুই ভাই। অপর দুই ভাইয়ের হাত-পা ও শুকিয়ে যেতে বসেছে। দ্রুত কোন সুচিকিৎসা না পেলে বড় ভাইদের মতো ছোট দুই ভাই ও পঙ্গুত্ব বরন করবে। এতে অসহায় হয়ে পড়বে পরিবারটি। তাই অপর দুই সন্তান পঙ্গু হওয়ার আগে সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন নিংপ্রু চাই মারমা ও এলাকাবাসী। মহালছড়ি চৌংড়াছড়ির রোয়াজা পাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় নিংপ্রু চাই মারমা বড় দুই ছেলে উচিং মং মারমা ও থুইসানু মারমা বসে আছে। তাদের ইচ্ছা থাকলে ও কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সামর্থ্য নেই।
জেলার মহালছড়ি উপজেলার ১ নং মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের একটি অজ পাড়া গায়ে নাম রোয়াজা পাড়া। সেই গ্রামের বাসিন্দা নিংপ্রু চাই মারমা। তিনি একজন গবীর কৃষক। পিতার নিকট থেকে পাওয়া দেড় কানি(ষাট শতাংশ) জমি চাষ করে সংসার চালান। তার পাঁচ সন্তানের মধ্যে একজন মেয়ে ও চারজন ছেলে। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। আর চার ছেলে। তার মধ্যে বড় দুই ছেলে জন্মের ৬/৭ বছর বয়স থেকে হাত-পা শুকিয়ে গিয়ে পঙ্গুত্ব বরন করেছে। আর অপর দুই ছেলের ও একই অবস্থাা হওয়ার পথে।
নিংপ্রুচাই মারমা জানান তার বড় ছেলে উচিং মং মারমা জন্মের সময় সুস্থা ভাবে জন্ম গ্রহন করলেও ছয় বছর বয়সে জ¦র হলে তিনি মহালছড়ি হাসপাতালে নেন। পরে জ¦র ভালো হওয়ার পর থেকে আস্তে আস্তে করে তার হাত-পা গুলো চিকন হতে থাকে, এক সময় তিনি আর হাটাচলা করতে পারেন না। ঠিক তিন বছর পর মেঝো ছেলে থুইসানু মারমারও একই অবস্থাা হতে থাকে। বর্তমানে তার বড় দুই ছেলে উচিং মং মারমা ও থুইসানু মারমার হাত-পা চিকন হয়ে গিয়ে পঙ্গু অবস্থাা বাড়ীতে পড়ে আছে। তার সেজো ছেলে থুইসাচিং মারমার ও হাটুর উপরে চিকন(ছোট) হয়ে যাচ্ছে। আর ছোট ছেলে সুইসাচিং মারমার হাত ও পায়ের হাড় গুলো প্রায় সময় যন্ত্রনা(ব্যথা) করে । তাদেরকে যদি সময় থাকতে চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে তাদের বড় দুই ভাইয়ের মতো পঙ্গুত্ব বরন করতে হবে।
নিংপ্রু চাই মারমা জানান, তিনি গরীব মানুষ তার ছেলেদের চিকিৎসা করার মতো সামর্থ্য তার নেই। তাই তিনি বিত্তবান ও সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন।